রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এর মধ্য দিয়ে অস্ত্র আইনের মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাহেদের বিচার শুরু হলো।
অভিযোগ গঠনের সময় নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়- তিনি দোষী না নির্দোষ। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান সাহেদ। অভিযোগ গঠন উপলক্ষে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১৯ আগস্ট অভিযোগপত্র আমলে নেন এই আদালত।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু জানান, সাহেদের পক্ষে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।
রিজেন্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ১৮ জুলাই রাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তার একটি গাড়ি থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল এবং কিছু মাদক জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে এই মামলা করে পুলিশ। এরপর গত ৩০ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইরুল ইসলাম। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় দায়ের করা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সবোর্চ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।