বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

নেত্রকোণায় ২৭তম খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কার পাবেন কবি গোলাম ফারুক খান

যা যা মিস করেছেন

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ বরাবরের মতো এবারও ২৭তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করছে। আগামী ১ ফাল্গুন ১৪৩০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে দিনব্যাপী এই সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সাহিত্য উৎসবে বরাবরের মতো এবারও নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ একজন গুণী মানুষকে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করবে।

বাংলা কবিতা ও গদ্যে অনন্য অবদানের জন্য এ বছর গোলাম ফারুক খানকে নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ এই পুরস্কার প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। লেখকও এই পুরস্কার গ্রহণে সম্মত হয়েছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হয়ে বিগত ২৬টি সাহিত্য উৎসবে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ইতোমধ্যে ২৮ জন গুণী মানুষকে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেছে। পুরস্কার পেয়েছেন- প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার, কবি রফিক আজাদ, কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, আধ্যাপক কবীর চৌধুরী, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মহাদেব সাহা, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কত সাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, কবি হেলাল হাফিজ, লেখক ও শিল্পী বুলবন ওসমান, কবি আবু হাসান শাহরিয়ার, কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি আলতাব হোসেন, কথা সাহিত্যিক নাসরিন জাহান, কথা সাহিত্যিক রাহাত খান, কবি নুরুল হক, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি মোহাম্মদ রফিক, কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার, কবি আসাদ চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি খালেদ মতিন, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান, কথা সাহিত্যিক মারুফুল ইসলাম, কথা সাহিত্যিক ধ্রুব এষ, কথা সাহিত্যিক পাপড়ি রহমান ও কবি শামীম রেজা।

গোলাম ফারুক খান কবিতার সাম্প্রতিক দুঃসময়ে খুব দ্যুতিমান নির্জনতম এক কবি। সত্তুরের দশক থেকেই তিনি খুব সন্তর্পণে লিখে যাচ্ছেন। বাংলা কবিতার বিচিত্র ভূমিতে আত্মজাত ভাষায় প্রাণদায়ী নদীর মতন পবিত্র সাধনা ও শুশ্রূষা ঢেলে দিচ্ছেন। কল্পনার স্বতোচ্ছল নিষ্ঠাতেই হয়েছেন তুখোড় বিদ্যার্থী। আত্মজীবনের নিমগ্নতায় লিখেছেন প্রচুর কিন্তু প্রকাশ্যে এনেছেন সামান্য—হয়তো নিখুঁত মনে প্রগাঢ় সম্বল খুঁজেছেন। আসলে কোনো কবিকে বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে জীবন ছকের ভেতর দিয়ে তাঁর কাব্যের জগতে প্রবেশ করা। কবির বাচনিক জগৎ কিংবা পংক্তির চরণরেখা ধরে কবির কল্পনার মায়ালোকে পৌঁছানো। পৃথিবীতে কেউ করো মতো লিখেন না কিংবা লিখতে পারেন না। কাব্যলোকে বিচরণের গভীর সহমর্মিতায় কবির মধ্যে একটা আত্মচোখ তৈরি হয়। এই আত্মচোখের আলোতে কবি লিখেন। জ্ঞানতত্ত্ব নয়, কবিতা হচ্ছে প্রজ্ঞার স্ফটিক। বাংলা কবিতায় গোলাম ফারুক খান আত্মচোখে লিখে যাচ্ছেন। পরদেশি সাহেবি সংস্কৃতির আধিপত্যবাদে স্নাত হয়নি তাঁর কবিতা। পূর্বময়মনসিংহের উর্বর পলির স্বর্ণশস্য তাঁর কবিতা। ইউরোপীয় জ্ঞানচর্চা ও কাব্যরুচির বিদ্যাতনিক রূপের ভেতরে থেকেও মাটি ও মানুষের সর্বমান্য সংস্কৃতি থেকেই জাগ্রত হয়েছে তাঁর কাব্যবোধ ও ভাষা।

একটি মাত্র কাব্যগ্রন্থেও একজন কবির অন্তরদ্বীপকে স্পর্শ করা যায়। বোঝা যায় কবিতাজীবীর মর্মধর্ম ও প্রবহমান আত্মদর্শন।’গলুইয়ে কাঠের চোখ ভিজে ওঠে’ নামে প্রকাশিত গ্রন্থে স্পষ্ট হয়েছে কবির স্বরসাধনার সৌরভ। দুই মলাটের পরিসীমায় শীর্ণ কাব্যগ্রন্থের ভাষা, দৃষ্টি ও জীবনপর্বে সময়ের নিয়মিত অভিজ্ঞান ও স্বপ্নই উচ্চারিত হয়েছে। তিনি ঠিক ভাবাবিষ্ট কবি নন, সচেতন, মেধাবী, বিচারশীল এবং আত্মচেতনধর্মী। কোনোকিছুতে সহজে ভেসে যেতে চাননি কবি। জেনে-বুঝে পৃথিবীকে স্পর্শ করতেই তাঁর কাব্যায়োজন। কবি মুদ্রিত হরফে জ্ঞাপন করেন সাদা-কালোয় মেশানো মানবসত্তা ও শিল্পজগৎ। তাঁর কাছে কবিতা শুধু শব্দচাতুর্য বা ধ্বনিবিলাস নয়—দীর্ঘ অনুশীলনজাত জীবনধর্ম।

বাঙালি মনীষায় কিংবা সারস্বত সমাজে গোলাম ফারুক খান কোনভাবেই জনপ্রিয় কবি হয়ে ওঠেননি। কারণ জন-মনোরঞ্জন কিংবা মঞ্চের দিকে তাঁর ঝোঁক নেই। মানুষকে এড়িয়ে নয়, সমাজেই আছেন। পড়ার-দেখার-শমতার এমন একটা জগৎ তৈরি করেছেন যেখানে উচাটন নেই, আছে নির্জনতার অন্যতর শুশ্রূষা। প্রচুর পড়াশোনা করেছেন এবং করছেন। বিশ্ব সাহিত্যের একজন মশগুল পাঠক তিনি। আধুনিক বিদ্যাচর্চার নিরীক্ষাময় জগতেও আছে তার সহজ বিচরণ। কিন্তু চিন্তার বিচিত্রতর রূপরেখা এবং দার্শনিক ধূসরতা পার হয়ে সমাজ-ঐক্যের প্রগতিপন্থাকেই অন্বেষণ করেন। এসব কথা বুঝিয়ে বলা অসম্ভব। কবিতায় কিংবা সারস্বতচর্চায় তিনি আসলে সমাজের মধ্যে আত্মসমাজ গড়ে নিয়েছেন। তাঁর কবিতায় চটক নেই, শব্দের অহেতুক খেলা নেই, চিৎকার নেই; আছে কাব্যিক সৌন্দর্য এবং পৃথিবীকে দেখার লক্ষ্যভেদী উচ্চারণ।

পিতা-পিতামহের নম্র সন্তাপের ছায়া নিয়ে তিনি কবিতার অন্তর্ময় পরিধিতে ঢুকে গেছেন। অন্তরে হয়তো অকথ্য রক্ত-চন্দনের তিলক, হয়তো সময়ের মুমূর্ষু দাগ কিন্তু মানবতার প্রশ্রয়ে কবিতায় ঢেলে দিচ্ছেন জীবনের অন্তঃপুর। তাঁর কবিতা মসৃণ হীরার মত সহজ ও ভারহীন। দীর্ঘ অনুধ্যান ও প্রয়াসে কবি এই কাব্যভাষা আয়ত্ত করেছেন। তাঁর কবিতা কোন অর্থেই উচ্চকিত নয়, সমাজেই মৃদু ধ্বনি; সমস্ত লোকের সুখ-দুঃখের প্রকৃত প্রতিমা। কবিতার ভূগোলে তার কোন ত্বরা নেই, আছে ঘনানো মেঘের শান্ত সুনিবিড় প্রত্যয়চিহ্ন।

গোলাম ফারুক খানের কাব্য এবং চিন্তায় আছে জীবনের মোহরছাপ; আছে জগতবীক্ষণ। আমি প্রতিদিন এই পরম মহাজনের জ্ঞানের ভূগোলে প্রবেশ করি, ছায়া নিই। তাঁর প্রজ্ঞা অনুভব ও প্রত্যয়কে অবারিত-সীমায়িত চোখে আমি স্পর্শ করি। অবিস্মরণীয় ভাবে তাঁর কাব্যযাপনে উঠে এসেছে জগতের স্নিগ্ধকল্লোল। বিবৃতিধর্মী, ক্যাটালগনির্ভর শিল্পহীন জগৎ তাঁর কবিতায় নেই। প্রত্যক্ষে-পরোক্ষে আত্মআবিষ্কারের সাবলীল জীবনপ্রবাহ এবং কাব্যিক সৌন্দযের শিল্পজগৎ ঢেলে দিয়েছেন কবিতায়।

গোলাম ফারুক খানের শক্তি কোথায়? কবিতায় না-কি গদ্যে? না-কি দুটোতেই? কল্পনা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতিভাসে তিনি এক দ্যুতিময় জগত তৈরি করেছেন। আসলে স্কুল জীবন থেকেই কবিতার বিচিত্র পথে পর্যটন করেছেন। সত্তর-আশি-নব্বই-শূন্য এবং সাম্প্রতিক সময়েও দেশের মান্য পত্রপত্রিকায় অনবরত লিখে যাচ্ছেন। কিন্তু সেগুলো বই আকারে সংকলিত করার সচেতন আগ্রহ প্রকাশ করেননি। বিনীতভাবে বলা চলে এসব কবিতাতে বাংলা কবিতার স্নিগ্ধভূমিকেই আবিষ্কার করা যায়।

গদ্যশিল্পী গোলাম ফারুক খানের কিছু লেখালেখির পরিচয় এখানে তুলে ধরছি। গদ্যের একটা নিজস্ব স্টাইলে তিনি লিখেন। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে তাঁর ভাষা আশ্চর্য সহজ ও হৃদয়গ্রাহী। ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, ঐতিহ্য—বিচিত্র বিষয়ে লিখেন তিনি। এখানে তাঁর কিছু গদ্যের শিরোনাম তুলে ধরছি: ‘যতীন সরকারের চিন্তাবিশ্ব: একটি চকিত পরিক্রমা’, ‘শিলঙে রবীন্দ্রনাথ’, ‘প্রবল অজেয় বাণী তব’, ‘প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ: শিক্ষকদের শিক্ষক’, ‘আমাদের দাদাভাই আর ‘কচি ও কাঁচা’, ‘রত্নসন্ধানী ‘বাঙাল’ অথবা মাঘ-নিশীথের কোকিল’, ‘নদী ও নারী: আবার বরুন্ডিতে’, ‘মৃত্যুঝড়ে জীবনের কবিতা’, ‘মনোচিকিৎসক, বিদ্যাব্রতী ও সজ্জন’, ‘সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে’, ‘অধ্যাপক ফকরুল আলম’, ‘একাত্তরের স্মৃতিচূর্ণ’, ‘চেরাপুঞ্জির মেঘলোকে’, ‘প্রবল অজেয় বাণী তব’, ‘বিদায়, হে দীর্ঘ দেবদারু’, `অধ্যাপক ড. শওকত হোসেন : প্রিয় শিক্ষকের জন্মদিনে’, ‘আহমেদ আলির ক্রোধ ও হাহাকার’, ‘ফিরে দেখা পুরোনো বই: ‘আ মোল ইন দ্য ক্রাউন’, ‘ফিরে দেখা পুরোনো বই: ‘মাই দাগেস্তান’, ‘আমরা হেঁটেছি যারা’, ‘বুধবার রাতে’: ইতরকালের গল্প, ‘জার্নাল, সিংহেরগাঁও’, ‘জার্নি অব দ্য মেজাই’, ‘মুক্তির মন্দির-সোপানতলে: মুনীর চৌধুরী’, ‘নির্বাসন, তাও অসম্ভব!’, ‘বিনম্র স্মরণ: কবি নূরুল হক’, ‘উত্তরের কুহক ও বাস্তব’, ‘রণজিৎ গুহ: বিদ্যাজগতের মহাবৃক্ষ’, ‘একটি চিঠি ও ডাকাতকাহিনি’, ‘দুঃখদিনে ‘চিরপথের সাথি’, ‘আমাদের নাদেরা ম্যাডাম’, ‘চৈত্র-সংক্রান্তির আলাপ’, ‘শফিককে দেখি না’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘যে ফুলের গন্ধই সম্বল’, ‘লেখক ও বুদ্ধিজীবী হাসান আজিজুল হক’, ‘বাংলা সাহিত্যে রশীদ করীম’, ‘অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা’, ‘দাড়িমছায়া নদীর তীরে’ ‘ইলিয়াস ভাইয়ের বিষবৃক্ষের বিষ ও মধু’ , ‘উত্তরের জীবনযুদ্ধ, হাতি ও নূরুল ইসলামের মৃত্যু’, ‘পরশমণি জ্বলে’, ‘এজাজ আহমদ এখন আমাদের সমষ্টিগত স্মৃতির অং ‘, ‘কথাসাহিত্যিক রশীদ করীমের ৯৬তম জন্মদিনে স্মৃতিকাহন’ ‘আমার ইচ্ছেমত কিছু হচ্ছে না’, ‘এ পুরস্কারের মাধ্যমে সম্মানিত ও পুরস্কৃত হয়েছে বাংলা কবিতা’। বিষয় ও চিন্তায়, বর্ণনায় ও প্রকাশ স্বাতন্ত্র্যে, স্টাইল ও আভিজাত্যে—এইসব গদ্য বাংলা গদ্যকে সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বল করেছে।

অনুবাদ গদ্যেও তিনি অনন্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর অনুদিত কিছু গদ্যের শিরোনাম হচ্ছে: ‘অরিয়েন্টালিজম ও তার পর : এডওয়ার্ড সাইদের কাজে দ্বৈধ ও মেট্রোপলিটান অধিবাস’ ‘আধুনিকতাবাদী শিল্প ও সাহিত্য আন্দোলন : কতিপয় ইশতেহা‘ ‘ সামির আমিনের গদ্য ‘রাজনৈতিক ইসলাম’, এজাজ আহমদের গদ্য ‘আশার বৈভব’ ।

বিশ্বকবিতার গুরুত্বপূর্ণ কবিদের কবিতাও অনুবাদ করেছেন। তার মধ্যে ‘স্যাঁ-জন পের্স-এর কবিতা’, ‘ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকার কবিতা এবং কিছু রুশ কবিতা অনুবাদ করেছেন।

মননে, বিনয়ে, সমৃদ্ধ রুচিবোধে বাংলার সারস্বত সমাজের অসামান্য ব্যক্তিত্ব কবি গোলাম ফারুক খান। সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি কিংবা প্রাচীন ইতিহাসের গহীনতম পথে উঁনার পাঠ ও বিচরণ। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সিংহেরগাঁয়ে ১৯৫৮ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতামহ বিখ্যাত বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ। কবির পিতা খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম চল্লিশের দশকের প্রধানতম কবি। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে নেত্রকোণায় এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের আর্থার ডি লিটল ম্যানেজমেন্ট এডুকেশান সেন্টারে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন)-এর সদস্য হিসেবে কর্মজীবনের একাংশ কাটিয়েছেন। এখন বিশ্ব ব্যাংকের শিক্ষা বিভাগে সিনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security