রংপুর, ৫ই আষাঢ়, (১৯শে জুন) :
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগ গত ১২ই জুন ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০২৪’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সচিবালয়ের দাপ্তরিক কার্যাবলি সুনির্দিষ্ট ও সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ ও রুলস্ অব বিজনেস, ১৯৯৬ অনুযায়ী ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০২৪’ প্রণীত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সচিবালয় নির্দেশমালা প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। ওই নির্দেশমালার ভাষা ছিল ইংরেজি। ১৯৭৮ সালে সচিবালয় নির্দেশমালা বাংলায় অনুবাদ করা হয়। এরপর সচিবালয় নির্দেশমালার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। সচিবালয় নির্দেশমালার সর্বশেষ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। বাস্তবতার নিরিখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়ে সচিবালয়ের কার্যসম্পাদন পদ্ধতিকে অধিকতর যুগোপযোগী, জনবান্ধব ও গতিশীল করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০১৪’ পরিমার্জন ও হালনাগাদকরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৬ই মার্চ একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০১৪’ সংশোধন বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে লিখিত মতামত সংগ্রহ করে। এছাড়া এই কমিটি বিদ্যমান নির্দেশমালা পরিমার্জন ও হালনাগাদ করার লক্ষ্যে ৮টি সভা ও ২টি কর্মশালার আয়োজন করে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত মতামত ও পর্যবেক্ষণসমূহ বিবেচনা করে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০২৪’-এর খসড়া প্রণয়ন করে। এই খসড়া নির্দেশমালা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চূড়ান্ত করা হয়। ২০২৪ সালের ২রা জুন প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০২৪’ অনুমোদিত হয়। এরপর গত ১২ই জুন ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০২৪’ বই আকারে প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, ‘সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০২৪’-এ ৮টি নির্দেশ, ৩০টি উপনির্দেশ ও ৩১টি ক্রোড়পত্র নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে। এছাড়া ৮৮টি নির্দেশ, ৯৪টি উপনির্দেশ ও ১৩টি ক্রোড়পত্রের আংশিক সংশোধন এবং ২টি নির্দেশ ও ৩টি উপনির্দেশ বিলুপ্ত করা হয়েছে।