মঙ্গলবার, জুলাই ২৩, ২০২৪

তীব্র লোডশেডিং এর ভোগান্তিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

যা যা মিস করেছেন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-

তিব্র লোডশেডিং এর ভোগান্তিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তিব্র লোডশেডিং এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, ক্লাসরুম ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল গুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে । এছড়াও একাডেমিক ভবনের লিফটে চলাচলের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে অনেকে আটকা পড়ে অসুস্থ হচ্ছেন। এই বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিব্র লোডশেডিং এর বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার এস, এম, এস্কান্দার আলী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন , অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক উপ-কেন্দ্রে ১০০০ কেভিএ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার বিদ্যমান যাহা সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোওয়াট ব্যবহার উপযোগী। একাডেমিক কার্যক্রম ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির ফলে বৈদ্যুতিক চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে তাপ প্রবাহের ফলে বৈদ্যুতিক চাহিদা উপ-কেন্দ্রের ক্ষমতার চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাই বৈদ্যুতিক উপ-কেন্দ্রের অনাকাখিত ক্ষতির (Shut down) হাত থেকে রক্ষা করতে ও একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখতে সকাল ১০.০০ হতে ৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বিভিন্ন ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ (load shedding) করতে হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সকাল ১০.০০ হতে ৩.০০ ঘটিকার মধ্যে বৈদ্যুতিক হিটার, রাইস-কুকার ও আয়রন ব্যবহার না করা, বৈদ্যুতিক এয়ারকুলার (এসি) ২৫-২৬ ডিগ্রি সে: এ ব্যবহার করা, শ্রেণি কক্ষে এয়ারকুলার (এসি) ব্যবহার না করা, অফিস কক্ষে অবস্থান না করলে এসি, ফ্যান ও লাইট বন্ধ রাখ, সকাল ১০.০০ হতে ১.০০ ঘটিকার মধ্যে বেশি বৈদ্যুতিক ক্ষমতার সম্পন্ন ল্যাব যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা এবং বৈদ্যুতিক পাম্প মটর সকাল ১০.০০ আগে এবং ৩.০০ ঘটিকার পরে চালু করা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের রুম গুলোতে এসি সংযোগের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের সক্ষমতার বাইরে। প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের অফিসেগুলোতে সবচেয়ে বেশি এসি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে নোটিশে শিক্ষার্থীদের গুটি কয়েক বিভাগে থাকা ক্লাসরুম ও ল্যাবের এসি ব্যবহারে নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনিক ভবনের এসি ব্যবহারের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুহিন বাদশা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা ল্যাব ও লাইব্রেরির পড়াশোনা বিরতিহীনভাবে চালিয়ে নিতে পারে। তাছাড়া গণরুম গুলো বিদ্যুৎ ছাড়া গণকবরে পরিণত হয়। অথচ আমাদের প্রশাসন নিজেদের সাব- স্টেশনের সক্ষমতা না বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে লোডশেডিং চাপিয়ে দিচ্ছে, যা দুঃখজনক এবং প্রশাসনের অপরিপক্ক ও আন্তরিকহীনতার বহিঃপ্রকাশ।”

এসিসিই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, “তীব্র তাপদাহে বারবার লোডশেডিং এর জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রজেক্টের কাজগুলো ঠিকমতো করা যাচ্ছে না।ডাইনিং চালু না থাকায় খাবার রান্না করা যাচ্ছে না। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। তাও শিক্ষার্থীদের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসির নিচে কাজ করছেন। লোডশেডিং এড়াতে প্রশাসন যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।”

এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সরাফত খান বলেন, “একাডেমিক ও প্রশাসনিকে হঠাৎ করে অনেক এসি সংযোজন করা হয়েছে যা আমাদের প্লানের বাইরে ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ অপচয়ের কারনে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রায় এক সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। খরচের কিছু ব্যাপার আছে এ ব্যাপারে উপাচার্য স্যার আন্তরিক আছেন। আমরা তার সাথে পরামর্শ করে কাজ করছি এবং কিছু মালামালের অর্ডার দিয়েছি। আমরা খুব দ্রুতই সমাধানের চেষ্টা করবো।”

এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের করা হলে তার ব্যস্ততার কারনে মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security