বেশকিছু অভিযোগ তুলে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘ডুব’-এর নাটাই টেনে ধরেছিল সেন্সরবোর্ড। এরপর থেকেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল ছবিটি। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে ৮ আগস্ট সেন্সর ছাড়পত্র পেল ‘ডুব’।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্সরবোর্ডের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। তিনি জানিয়েছেন, “৮ আগস্ট সন্ধ্যায় ছবিটি ছাড়পত্র পেয়েছে। সর্বশেষ দিন দুয়েক ধরেই ছবিটি নিয়ে সেন্সরের প্রক্রিয়া চলছিল।”
কিন্তু সেটি কি আনকাট ছাড়পত্র নাকি কর্তন শর্ত পূরণ করার পর? এমন প্রশ্নের জবাবে এড়িয়ে যান তিনি। বলেন, ‘আমি আসলে গতকালকের (৭ আগস্ট) বোর্ডে ছিলাম না।’
বলিউডের ইরফান খান অভিনীত এটি বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী, পার্নোমিত্র প্রমুখ।
‘ডুব’ এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান কর্তা আবদুল আজিজ বলেন, ‘‘সেন্সরের জন্য এই দীর্ঘ অপেক্ষার সময়ে আপনাদের সমর্থন আমাদের স্পিরিট ঠিকঠাক রেখেছে। আপনাদের ধন্যবাদ। সেন্সর বোর্ডকে ধন্যবাদ। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে ধন্যবাদ। এই খুশির খবরে, দুই এক দিনের মধ্যে আপনাদের জন্য উপহার হিসাবে আসছে ‘ডুব’ ছবির একমাত্র গান চিরকুটের ‘আহা জীবন’-এর লিরিক ভিডিও।’’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে ‘ডুব’। কিন্তু এর মধ্যে দেশ ও বিদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে তৈরি হয় ছবিটির গল্প নিয়ে বিতর্ক। প্রকাশিত সংবাদগুলোতে অভিযোগ ওঠে, দেশের কিংবদন্তি সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের একটি বিতর্কিত অংশ নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। এক্ষেত্রে হুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওন কিংবা পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের অনুমতি নেয়নি ফারুকী।
এমন অভিযোগ এনে ১৩ ফেব্রুয়ারি সেন্সর বোর্ডে আপত্তিপত্র পাঠান শাওন। মূলত এর পরেই ছবিটির ছাড়পত্র নিয়ে তৈরি হয় শংকা।
উল্টোদিকে সিনেমাটির গল্প যে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের একাংশ থেকে নেওয়া সেটির একাধিক তথ্য-প্রমাণ দেশ ও বিদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও সরয়ার ফারুকী বরাবরই সেটি অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য ছিল এমন, ‘আমার সিনেমার সব চরিত্র কাল্পনিক। এটা বায়োপিক নহে।’
‘ডুব’ বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া, ভারতের এসকে মুভিজ ও ইরফান খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে। জানা গেছে, নভেম্বরে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।