আসন্ন মৌসুমে কৃষকদের ধান কাটায় সহায়তা করতে ছাত্রলীগের সব ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সারা দেশের প্রতিটি ইউনিটকে নিজ নিজ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কৃষককে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংকট মোকাবেলায় দেশের সকল জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা টিম’ গঠন করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতি ইউনিটে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১০ জন মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের সমন্বয়ে তৈরি এ টিমে পোস্টারে মুঠোফোন নম্বর সংযোজন করে প্রচার করবে। সাহায্যপ্রার্থী কেউ যোগাযোগ করলে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব-স্ব এলাকার অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর ও খেটে-খাওয়া মানুষ খাবারের জন্য যোগাযোগ করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বাড়িতে গিয়ে ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রলীগ নিজ উদ্যোগে সচেতনতা কর্মসূচি পালন করেছে। স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণের পর খাদ্য সহায়তা করেছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলছে। কর্নার সংকট মোকাবেলায় সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট নিজ নিজ উদ্যোগে নির্দেশনা পালন করবে।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, করোনার কারণে বোরো মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকের ধান কাটার সংকট তৈরি হয়েছে। জমিতে ধান পাকলেও কাটার লোকবল নেই। এই অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীকে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ধান কেটে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি টিম করা হয়েছে।