কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার করা ও তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান।
মঙ্গলবার দিবাগত (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ৩টায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী নিশ্চিত করেন, ইফাত জাহান এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত (১১ এপ্রিল) সোয়া ২টায় প্রক্টর অধ্যাপক বলেন, ‘কয়েকজন মেয়েকে প্রহার করা হয়েছে। এ অভিযোগ উঠেছে হল সভাপতির বিরুদ্ধে। তদন্ত করে তাকে বহিষ্কার করবো।’
আহত ছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মোরশেদা খানমের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহত অন্য ছাত্রীদের মধ্যে আছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শারমীন সুলতানা কনা, গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের আফিফা আকতার রিমু ও ভূতত্ত্ব বিভাগের রিতু আক্তার।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যোগ দেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা কবি সুফিয়া কামাল হলের সামনে জড়ো হয়েছেন। হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন। হলের ভেতরেও সাধারণ ছাত্রীরা বিক্ষোভ করছেন। তারাও হামলার জবাব চেয়ে শ্লোগান দিচ্ছে। একই সঙ্গে কোটা সংস্কারের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
রোববার রাতে পুলিশ আন্দোলনকারীদের শাহবাগ থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী তাদের উপর চড়াও হয়েছিলেন। রাতভর সংঘর্ষের মধ্যে গুলি ছোড়ারও অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ছাত্রলীগের এক সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, যতদিন আন্দোলনকারীরা ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’ ছিল, ততদিন ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়নি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এই আন্দোলনে ষড়যন্ত্র দেখলেও নিচের সারির নেতাদের অনেকে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যুক্ত। নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে কয়েকজন পদত্যাগও করেছেন।