ছেঁড়া ফাঁড়া টাকা ক্রয় বিক্রয়ের হাট গুলিস্তান ও মতিঝিল। ছেঁড়া ফাঁড়া টাকা অদল বদল নিয়ে গুলিস্তান ও মতিঝিলের কয়েক ছেঁড়া টাকা ব্যবসায়ী ও বিক্রেতার সাথে কথা হয় দ্যা মেইল বিডির জেষ্ঠ্য প্রতিবেদকের । আপনার কাছে ছেঁড়া টাকা কি করবেন, সকল ব্যাংকের ছেঁড়[ টাকা বদল করার কেন্দ্রিয় নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়না ,অনেক সময় ছেঁড়া টাকা নিয়ে ব্যাংকে গেলে অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানান কয়েকজন ছেঁড়া টাকা বিক্রয়কারী।
কিন্তু ছেঁড়া নোট পাল্টে নেয়ার কথা অনেক সময়ই মাথায় আসে না। আসলে ছেঁড়া–ফাটা নোট বদলে নেয়ার বিষয়ে সামান্য ধারণা না থাকার কারণে অনেককেই এই ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় ছেঁড়া বড় নোট বাজারে চলবে কি-না, এই দুশ্চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন গ্রাহক। ব্যাগের এক কোনায় পড়েই থাকে অচল নোটটি।
এই ছেঁড়া নোট নিয়ে আপনি সরাসরি চলে যেতে পারেন গুলিস্তান কিংবা মতিঝিলের নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায়। জায়গা মতো পৌঁছলেই কানে আসবে এই কথা- ‘টাকা দেন, টাকা নেন’। সময় করে ব্যাগে পড়ে থাকা অচল নোটটির বদলে কিছু কমে নতুন নোট পাওয়া যায় তাতে মন্দ কি! জানা গেল, বছরের পর বছর ধরে এসব স্থানে প্রতিদিন বসে টাকার হাট। নতুন টাকার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা, কেনেন পুরনো ছেঁড়া টাকা।
রাজধানীর গুলিস্তান-মতিঝিলে প্রতিদিন অন্তত ৪০টি টাকার দোকান বসে। এখানকার দোকানিরা নতুন টাকা বিক্রি করেন, আর ছেঁড়া টাকা কেনেন। শুধু পুরুষ নয়, এখানে আছেন নারী বিক্রেতাও। টাকা বিক্রি হয় নোট হিসেবে। দুই, পাঁচ, দশ, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট হাজার হিসেবে বিক্রি হয়। সারা বছরই বিক্রি হয় নতুন টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঈদ-পার্বনের সময়।
পুরাতন ছেড়া টাকা কেনা প্রসঙ্গে দ্যা মেইল বিডির জেষ্ঠ্য প্রতিবেদককে ছেঁড়া টাকা ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও ব্যবসায়ী সবুজ জানান টাকা ছিঁড়ে এমন অবস্থা হয়, আর কেউ নিতে চায় না। তখন সেই ছেঁড়া টাকাই আমাদের কাছে আসে। ছেঁড়া টাকা শতকরা ২০/৩০ টাকা কম দেয়া হয়। পুরাতন ছেঁড়া একশ’ টাকায় দেয়া হয় ৮০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি পুরাতন বা বেশি ছেঁড়া হলে, নোট হিসেবে ৭০ টাকাও দেয়া হয়। আমরা নতুন টাকাও দেই এই যে দেখেন নতুন টাকা আর এই নতুন টাকা বেশি বিক্রি হয় ঈদ পার্বনে এবং সিজন উপলক্ষে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী ছেঁড়া নোট পাল্টে দিতে বাধ্য। কিন্তু ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই বিধিটি উপেক্ষা করছেন। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। তাদের বাট্টা দিয়ে ছেঁড়া নোট বদল করে আনতে হয় ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়