...
সোমবার, মে ২০, ২০২৪

আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী

যা যা মিস করেছেন

আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তবে হাইকোর্ট যদি আল জাজিরা বন্ধে নির্দেশ দেয়, তবে আদালতের নির্দেশনা আমাদের মানতে হবে। সেক্ষেত্রে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা হবে, বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরের বাসায় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিং করেন। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,

আমরা চাইলে আল জাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম। অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনও ৬-৭টি দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, এজন্য আমরা সেই উদ্যোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেইনি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয় যে ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অপরের স্বাধীনতা হরণ করে এমন সংবাদ পরিবেশন করা হবে। এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আল জাজিরার রিপোর্ট একটি মিথ্যা বানোয়াট। কিছু কাট-পেস্ট করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশঃবর্তী হয়ে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাদের টিকাগ্রহণ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা করোনা টিকা নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছেন। তারা প্রথমে বলেছে- সরকার টিকা সময়মতো আনতে পারবে না। যখন সময়মতো টিকা চলে এলো, তখন বললেন- এটি নিলে কোনো কাজ হবে না। এই টিকা দিয়ে বিএনপি নেতাদের মেরে ফেলতে চাচ্ছেন। এ ধরণের কথাও বলেছেন তারা।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নানা ধরণের প্রশ্ন তুলে, দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা টিকা নিয়েছেন এবং নেয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন। সেজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।

জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আসলে কি ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো হয়নি এখনও। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো বিরোধী দল, তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ অন্যান্য যে সমস্ত ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন, তা হাস্যকর।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশে যে ধরণের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, সেই নিরিখে চট্টগ্রাম সিটিতে একটা ভাল নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কার্যত মাঠে ছিল না। ভোটের দিন তাদের কাউকে দেখা যায়নি। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু মাঠে ছিল না, এটি তাদের ব্যর্থতা এবং দলীয় দুর্বলতা। এ কারণেই চট্টগ্রাম সিটিতে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।

দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.