ভারতের কৃষক আন্দোলনের পক্ষে এর আগে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছিলেন। এরপর কৃষকদের পাশে দাঁড়ান মার্কিন পপস্টার রিহানা, আলোচিত পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও সাবেক পর্নতারকা মিয়া খলিফা।এবার তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। পাশে দাঁড়ালেন মোদি সরকারের।
শচীন তেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রবি শাস্ত্রী, রোহিত শর্মা এমনকি লতা মঙ্গেশকারও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলছেন, রিহানা-থুনবার্গদের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।
মঙ্গলবার রাতে কৃষক আন্দোলনের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে রিহানা লিখেন, ‘কেন আমরা এই নিয়ে কথা বলছি না?’ বিক্ষোভস্থলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের খবরটিও জুড়ে দেন রিহানা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। এই পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে ভারতে কৃষক বিক্ষোভের খবর। বহু মানুষ সোশ্যাল সাইটে এই নিয়ে সরব হন।
রিহানার মতোই কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খুললেন গ্রেটা থুনবার্গ। তিনিও কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেন টুইটারে। তারপরই টুইটারে ভারতের কৃষিবিল বিরোধীতায় বসা নারীদের ছবি পোস্ট করে একটি বিস্ফোরক ক্যাপশন জুড়ে দেন মিয়া। তার মতে, ভারতের রাজধানীতে ২৬ জানুয়ারি যা ঘটেছে তা মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। তিনি লেখেন, ‘ কী ঘটছে? এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? ওরা নয়া দিল্লিতে ইন্টারনেট পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছে’।
এদিকে, এসবের পরই মুখ খোলেন শচীন তেন্ডুলকার। তিনি টুইট করে জানান, ‘ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনও আপস নয়। বিদেশি শক্তি দর্শক হতে পারে, দেশের কোনও ঘটনার অংশীদার নয়। ভারতীয়রা দেশকে ভাল করেই চেনেন এবং দেশের সম্পর্কে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।’
এমন মন্তব্যে শচীন সমালোচিত হলেও দমেননি টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, এই মতবিরোধের মধ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। কৃষকরা দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমি নিশ্চিত, এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে, শান্তি ফিরবে এবং আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’ সূত্র : আজকাল।