দীর্ঘদিন ধরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গ্রডেশন তালিকা হালনাগাদ করন, আউটসর্সিং প্রক্রিয়া বাতিল ও অন্যান দাবিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগ সুবিধার বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, সচিব ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বরাবর লিখিত আবেদন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি।
লিখিত আবেদনে তারা বলেন,
১। সুদীর্ঘ ১৫ বছর ধরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের কর্মকর্তাদের গ্রেডেশন তালিকা হালনাগাদ করা হয় নাই। তাই অনতিবিলম্বে এই পদের হালনাগাদ করতে হবে।
২। চাকুরিবিধি লংঘন করে সহকারি প্রকৌশলী ( ক্যাডার) ও সহকারি প্রকৌশলী ( নন ক্যাডার) পদে সরাসরি নিয়োগের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা।
৩। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিধি অনুযায়ী সহকারি প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি নিশ্চত করা।
৪। রাজস্বখাতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২২ জন সহকারি প্রকৌশলীদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫। পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহকারি প্রকৌশলীদের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি / চলতি দায়িত্ব প্রদান।
৬। উপ-সহকারী প্রকৌশলী / প্রাক্কলনিক/ নক্সারকার পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করন।
৭। বিভিন্ন প্রকল্পের সৃষ্ঠ উপ-প্রকল্প পরিচালক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হতে ৫০ ভাগ পদায়ন করা।
৮। নবনিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী / প্রাক্কলনিক/ নক্সারকারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং অন্যান দাবী দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ মর্মে দেশের প্রতিটি জেলা কমিটিকে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন কল্পে একটি জরুরি নোটিশ জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭শে ডিসেম্বর থেকে জয়পুরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি অধিকার আদায়ের লক্ষে প্রতিবাদমুলক ব্যানার টানিয়েছে।
এছাড়াও আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘন্টা কালো মুখোশ পরিধানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, জয়পুরহাট জেলা কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এস এম মহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, যা সম্পুর্ন শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হবে। আমাদের এই ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আগামীতেও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।