সোমবার, মে ২০, ২০২৪

নেত্রকোণা পৌরসভাকে নান্দনিক পৌরসভায় রুপান্তর করতে চান – অর্পিতা খানম সুমি

যা যা মিস করেছেন

নেত্রকোণা পৌরসভাকে নান্দনিক উন্নত নাগরিক সেবা সমৃদ্ধ পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় জনসংযোগ করে যাচ্ছেন অপির্তা খানম সুমি। আসছে নিবার্চনে তিনি মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।

সৎ, যোগ্য ও বিচক্ষণ মানুষ হিসেবে অর্পিতা খানম সুমি ইতোমধ্যে নেত্রকোণার সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেছেন। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছাত্র জীবনের শুরু থেকেই সমাজসেবায় নিয়োজিত হন। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিনি রাজনীতির সাথেও জড়িয়ে পরেন। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তিন দশকের অধিক পথ চলায় তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। তার পিতা বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বারবার নির্বাচিত নেত্রকোণা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মোঃ মতিয়র রহমান খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই অর্পিতা খানম সুমি আজ নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী। উল্লেখ্য যে মোঃ মতিয়র রহমান খান নেত্রকোণা পৌরসভার  চেয়ারম্যান থাকাকালীন নেত্রকোণা পৌরসভার উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় অর্পিতা খানম সুমি নেত্রকোণা পৌরসভাকে আরও উন্নত সেবার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে চান এবং  মগড়ার তীর ঘেষে গড়ে ওঠা নেত্রকোণা পৌরসভাকে নান্দনিকতায় ভরিয়ে দিতে চান  তার জীবনের শেষ রক্ত কণা দিয়ে হলেও।

অর্পিতা খানম সুমি বর্তমানে নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ১৯৮৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ ও সরকারি কলেজ শাখার মহিলা সম্পাদিকা পদ লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে কলেজের প্রথম দিনে ছাত্রদল কর্তৃক ছাত্রলীগের মিছিলে হামলার স্বীকার হন। ১৯৮৯ ও ৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরােধী আন্দোলনে মিছিল হরতাল পিকেটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জে তার মাথা ফেটে আহত হন।

১৯৯১ সালে নেত্রকোণা সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভােটে ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালেই বিএনপি-জামাত শাসনামলের শুরুতে নেত্রকোণায় সর্ব প্রথমেই তাদের বাড়িতে তিনি ও তার পিতা হামলার শিকার হয়ে আহত হন।

২০০১ হতে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জননেত্রীর নির্দেশে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন কুখ্যাত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের রােষানলে পড়ে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হন।২০০২ সালে অপারেশন ক্লীনহার্ট চলার সময় প্রথমেই সেনাবাহিনী নেত্রকোণায় এসে পরপর দুই তিন দিন সুমিদের বাড়িতে ঢুকে বাড়ি-ঘর তছনচ ও ভাংচুর করে। তার আব্বাকে গ্রেফতার করতে আসলে সেনাবাহিনীর সামনে তিনি বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এবং নিযার্তিত হন।

২০১০ সাল থেকে তিনি যুব মহিলা লীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ওয়ান-ইলেভেনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর থেকে মুক্তিলাভ পর্যন্ত নেত্রকোণা ও ঢাকার রাজপথে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের নেতৃত্বে প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।

বর্তমানে তিনি জেলার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি আজীবন সদস্য- জেলা শিল্পকলা  একাডেমি, নেত্রকোণা জেলা পাবলিক লাইব্রেরী রেডক্রিসেন্ট সােসাইটি নেত্রকোণা, ডায়বেটিক সমিতি নেত্রকোণা, উদীচি শিল্পীগােষ্ঠী নেত্রকোণা, কার্যকরী কমিটির সদস্য নেত্রকোণা চক্ষু হাসপাতাল, সদস্য নেত্রকোণা রাইফেলস ক্লাব, রােটারী ক্লাব, সদস্য নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকাস্থ নেত্রকোণা জেলা সমিতি, মহিলা বিষয়ক সচিব ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকাস্থ ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঢাকাস্থ ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন সমিতি, সদস্য সাধারন পরিষদ বিডিপিসি (এনজিও)ঢাকা।

অর্পিতা খানম সুমির মাতা হােসনে আরা বেগম (গৃহিনী) পিতা মতিয়র রহমান খান নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান নেত্রকোণা পৌরসভা ও সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলেন। ছােট দুই ভাই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছােট ভাই সােহেল অর রহমান খান নেত্রকোণা সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, সাবেক ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। আরেক ছােট ভাই সাজ্জাদুর রহমান খান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, রাজনীতির কারনে এই দুই ভাই একাধিক বার কারা ভােগ করেন। তার স্বামী মোঃ ইসহাক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ও প্রগতিশীল ভাবধারার ব্যক্তিত্ব।

নেত্রকোণা পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে সুমি বলেন,

২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় আওয়ামীলীগ  সরকার গঠন করে, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ৫ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি। দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাবান নেত্রী দেশ উন্নয়নের নিমিত্তে দীর্ঘ মেয়াদী সুষ্পষ্ট পরিকল্পনা  “রূপকল্প-২০২১” গ্রহণ করেন, যা আজ বাস্তবায়ন হতে চলেছে।  অনেক অনেক সাফল্যের মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন অন্যতম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বিষয়ে ৫০ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশিচতূ করা হবে। তাঁর এই ঘোষণা আমাকে আরও সাহস যুগিয়েছে নেত্রকোণা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে।

১৮৮২ খ্রীঃ নেত্রকোণা মহুকুমা সৃষ্টির পর গড়ে উঠা নগর ও নাগরিক অধিকার বিবেচনায় ১৮৮৭ সালে ১ জানুয়ারি নেত্রকোণা মিউনিসিপ্যালিটি  স্থাপন করা হয়। পৌরসভা স্থাপনের পর এক শতাব্দিকাল ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এটি তৃতীয় শ্রেণী ভুক্ত পৌরসভা ছিল। ১৯৮৯ পরবর্তী উক্ত পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণী ভূক্ত হয় । ধীরে ধীরে ক্রমবিকাশ হয়ে পৌরসেবার চাহিদা বৃদ্ধি ও প্রাপ্তির সমন্বয় সাধনের উন্নতির ফলে নেত্রকোণা পৌরসভা বিগত ১০ অক্টোবর ১৯৯৬ খ্রীঃ প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়।

স্বাভাবিক ভাবেই নেত্রকোণার পৌরসভার ইতিহাসে ১৯৮৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত সময়টাকে স্বর্ণযুগ বলাটা ভুল হবে না। এ সময়ই ২১ শহর প্রকল্পের প্রাপ্তি ঘটে এবং আজ কিছুটা চলনসই পৌরসভা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উল্লেখ্য আমি যার গর্বে গর্বিত উল্লেখিত সময়ে মোঃ মতিয়র রহমান খান তিনি আমার পিতা আপনাদের সাথে থেকে ও পাশে নিয়ে একনাগারে ১৫ বছর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর কার্যক্রম সম্পর্কে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।

লক্ষাধিক লোকসংখ্যার মগড়া ও ধলাই নদী বেষ্টিত ২১.০২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের আমাদের প্রিয় পৌরসভা। পৌরসভার আওতাধীন রাস্তা, ড্রেন, হাটবাজার, সড়ক বাতি, কবরস্থান জনসংখ্যা অনুযায়ী অপ্রতুল, জনসেবা যুগোপযোগী নয় এবং অনেকেই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই নেত্রকোণা পৌরসভাকে একটি আধুনিক, নান্দনিক, উন্নত এবং ডিজিটাল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

সর্বোপরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাগড়ার লক্ষ্যে ও জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের গতিধারা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেত্রকোণা পৌরসভার সকল মানুষকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত, নারী ও শিশুর সার্বিক নিরাপত্তা ও অবাধ চলাফেরা নিশ্চিত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরন হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম আধুনিক  পৌরসভা বিনির্মাণ করা হবে ।

অর্পিতা খানম সুমি পৌরবাসীর সূখ-দুঃখের সাথী হয়ে নেত্রকোণা পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও নান্দনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পৌরবাসীসহ সকলের সহযােগীতা ও দোয়া  কামনা করছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security