শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

রাঘব-বোয়ালরা আছেন কারাগারের বাইরে

যা যা মিস করেছেন

এপর্যন্ত গত কয়েক বছরের আলোচিত ঘটনা ও মামলায় বেশ কয়েকজন কারাবন্দি এখন কারাগারের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে তারা আসলে ‘ভালো থাকার’ জন্যই নানা কৌশলে হাসাপাতালে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে জি কে শামীম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও ডেসটিনির রফিকুল আমীন অন্যতম। জি কে শামীম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং ডেসটিনির চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। সম্রাটকে কেবিনে রাখা হয়েছে। বাকি দুইজন আছেন প্রিজন সেলে। কারাসূত্রে জানা গেছে ঢাকায় আরো ৯ জন কারাবন্দি এখন কারাগারের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর কারাগারে থাকা অন্য ‘ভিআইপি’ আসামিরা সেখানে বসেই আইনের বাইরে নানা সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

অভিযোগ উঠেছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালিশ কান্ডে গ্রেপ্তার সাজিন এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাদত হোসেনসহ তার সহযোগীরা কারাগারে বসেই বাইরে তাদের টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন।

এআইজি (প্রিজন) মো. মঞ্জুর হোসেন অবশ্য দাবি করেন, ‘বন্দিদের কারাগারের বাইরে আদালতের নির্দেশে অথবা চিকিৎসকদের পরামর্শেই পাঠানো হয়৷ কারা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্তে কাউকে কারাগারের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠায় না। তার সুযোগও নেই। অনেক সময়ই আদালত বন্দিদের আবেদনে তাদের কারাগারের বাইরে চিকিৎসার আদেশ দেন।’

তিনি বলেন, ‘কারাগারে হাসপাতাল আছে৷ সেখানকার চিকিৎসকরাও বন্দিদের চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তারাই যাকে বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করেন। যারা এখন বাইরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তারা আদালতের নির্দেশ এবং চিকিৎসকের পরামর্শেই আছেন।’

আলোচিত ঘটনা

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে বিদেশি মদ, অস্ত্র আর বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশের বাইরে পালানোর সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া। তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৯ জুন অস্ত্র আইনের একটি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার চার্জশিট দেওয়ার কথা রয়েছে ২৬ আগস্ট। মাদক মামলাও রয়েছে পাপিয়ার বিরুদ্ধে।

ভুয়া করোনা প্রতিবেদন এবং অবৈধভাবে অর্থ আয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ৮ আগস্ট। মামলাটি তদন্ত করেছে ডিবি। আর রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয় ৩০ জুলাই। তার বিরুদ্ধে ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্টের তদন্ত চলছে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ঢাকাসহ সারা দেশে ৩০টির বেশি মামলা হয়। গ্রেপ্তার হন এক শ-এরও বেশি। ওই মামলাসহ পরের আলোচিত ঘটনা ও মামলাগুলো ব়্যাব, সিআইডি, ডিবি, থানা পুলিশ ও দুদক তদন্ত করছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, ‘বেশিরভাগ মামলায়ই এরইমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। দুইটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সেই মামলাগুলোর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। বাকি মামলাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছি৷’

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security