সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈসাবি পালিত

যা যা মিস করেছেন

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
আজ রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের উৎসব বৈসাবি-২০২৪ ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে এ উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজনকারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বৈসাবি র‌্যালিতে অংশ নেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবি র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র হতে শুরু হয়ে বেইলি রোড ও রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পার্কের লেকের প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়।

পরে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রমনা লেকের পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়। রাজধানীতে বসবাসরত তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ আনন্দঘন র‌্যালিতে অংশ নেন।
মোঃ মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার জন্য সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব। সেখানে কোনো হানাহানি বিদ্বেষ থাকবে না। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মূল ধারার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে।’

সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানগুলো রাজধানীবাসীসহ সারা দেশে পরিচয় করিয়ে দিতেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই কেন্দ্রের প্রধান কাজ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলোর গবেষণা ও সংরক্ষণ করা। বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্যবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্তি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।’ এসময় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষবরণ উৎসব হলো বৈসাবি। এই উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবি নামকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security