আগামী নির্বাচনে কারও দায়িত্ব নেবেন না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ওই নির্বাচনে দেড়শ এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।
আগামী নির্বাচনে নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। এবার আমি কারও দায়িত্ব নিতে পারব না। যেই হোন না কেন, জনপ্রিয়তা না থাকলে আমি মনোনয়ন দেব না। আপনারা কে কী করছেন, প্রত্যেকের রিপোর্ট আমার কাছে আছে।
ছয় মাস পরপর আমি তথ্য নেই। যার অবস্থা ভালো তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ রবিবার সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মধ্যে পিরোজপুর-৩-এর রুস্তম আলী ফরাজী, মেহেরপুর-২ আসনের মো. মকবুল হোসেন, ফরিদপুর-৪ এর মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ফেনী-৩ আসনের রহিম উল্লাহ এবং পার্বত্য রাঙামাটির ঊষাতন তালুকদার আওয়ামী লীগে যোগ দেননি।
আওয়ামী লীগে যোদ দেওয়া এমপিদের মধ্যে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন সভায় বক্তব্য রাখেন।
জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এমপিদের সঙ্গে কোন ধরনের সমন্বয় না করেই টাকাপয়সা খরচ করে। এতে করে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তাদের বরাদ্দের টাকা ব্যয় করে। তাদের বরাদ্দ নিয়ে আপনাদের নাকগলানোর দরকার কী?
ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি তো আপনার এলাকায় আমার অনেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করছেন। তাদের হয়রানি করছেন। এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিন।’