সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন

যা যা মিস করেছেন

France pre the mail bd

রোববার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলের আভাস দিয়ে বিসিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ৩৯ বছর বয়সী ইমানুয়েল মাক্রোঁই হতে চলেছেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

তার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন আরেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লা পেন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বেসরকারি ফলাফলে ম্যাক্রন পেয়েছেন ৬৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লা পেন পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন ম্যাক্রন। বেসরকারি ফল ঘোষণার পর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ, প্রধানমন্ত্রী বেরনাদ ক্যাজনভ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভলস, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

রবিবার (৭ মে) ফ্রান্সে সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) থেকে শুরু হয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা)। হ্যাকিং সংক্রান্ত উত্তেজনার মধ্যেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

সরকারিভাবে এই ফল ঘোষণা হবে আগামী ১০ মে। ফরাসি গণপরিষদের প্রেসিডেন্ট লরাঁ ফ্যাবিয়াস সেদিন ফল ঘোষণা করবেন। আগামী ১১ ও ১৮ জুন দেশটিতে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচিত হওয়ায় ৩৯ বছর বয়সী ম্যাক্রন ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইতিহাস গড়লেন। তার কাছে না হারলে ৪৮ বছর বয়সী লে পেন হতে পারতেন ফ্রান্সের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। যদিও প্রথম দফা নির্বাচনেই আভাস পাওয়া গেছে, চূড়ান্ত নির্বাচনে বড় ব্যবধানেই জয়লাভ করবেন ম্যাক্রন।

ফ্রান্সের নির্বাচনি ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে ম্যাক্রন ২৩.৭৫ শতাংশ ভোট এবং লা পেন পান ২১.৫৩ শতাংশ। তারাই দ্বিতীয় ধাপে লড়াইয়ের জন্য মনোনীত হয়ে রবিবারের দ্বিতীয় দফায় অংশ নেন।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১২ সালের নির্বাচনের চেয়ে কম। ওই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৭২ শতাংশ। এর আগে ২০০৭ সালের নির্বাচনে এ হার ছিল ৭৫ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতির হার ১৯৮১ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম দেখা গেছে। সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security