যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের জন্য প্রথমবারের মত দুই নারীকে বেছে নিয়েছেন।
সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নিকি হেইলিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের ভূমিকায় দেখা যাবে। আর বিলিয়নেয়ার রিপাবলিকান বেটসি ডেভোস পাচ্ছেন ট্রাম্প সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর পদ।
বিবিসি লিখেছে, ভোটের প্রচারের দিনগুলোতে এই দুই নারীকেই ট্রাম্পের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। অভিবাসননীতি নিয়ে তর্কে জড়িয়ে হেইলি বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্পের ভক্ত নন। আর ডেভোস নিউ ইয়র্কের এই টাইকুনকে বলেছিলেন অবাঞ্ছিত।
তাদের দুজনের নিয়োগ কার্যকর হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এবারের নির্বাচনে নারীদের নিয়ে নানা মন্তব্যের জন্য সমালোচিত ট্রাম্পের জয়ের পাশাপাশি সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকানরা।
মনোনয়ন দৌড়ে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বেন কারসন আভাস দিয়েছেন, নতুন প্রশাসনের কোনো একটি পদের জন্য শিগগিরই তার নাম শোনা যেতে পারে।
‘আমেরিকাকে আবার শীর্ষে নেওয়ার কাজে আমার ভূমিকা কী হবে- সে বিষয়ে একটি ঘোষণা আসছে,’ ফেসবুকে লিখেছেন কারসন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প এক টুইটে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের জন্য তিনি কারসনের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন।
ট্রাম্পের ভাষায়, সমঝোতার কারিগর হিসেবে হেইলির দক্ষতা প্রমাণিত আর সামনের দিনগুলোতে আমেরিকা সরকারকে অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
‘বিশ্ব মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দারুণ এক নেতা হবেন হেইলি,’ বলেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
হেইলি বলেছেন, তিনি কাজটা নিতে চান। আর কংগ্রেসের অনুমোদনের আগ পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে হেইলি সমর্থন দিয়েছিলেন ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও এবং পরে টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজকে।
মুসলমানদের আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনায় হেইলি বলেছিলেন, ওই পদক্ষেপ মোটেও ‘আমেরিকাসুলভ’ হবে না। এর জবাবে হেইলিকে অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে ‘খুবই দুর্বল’ বলেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, সাউথ ক্যারোলাইনার মানুষ হেইলিকে নিয়ে লজ্জিত।