তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলার পলাতক আসামি শিল্পপতি রাগীব আলীকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় করিমগঞ্জের ইমিগ্রেশন পুলিশ রাগীব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলায় গত ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সিলেটের আদালত। ওই দিনই সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা বাগানের পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ তারাপুর চা বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ১২ নভেম্বর (শনিবার) জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে রাগীর আলীর ছেলে আবদুল হাইকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে বিশ্বনাথ থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরও আগে, দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে গত ১২ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান কথিত দানবীর রাগীব আলী।