কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন বাংলাদেশে শিশু চিকিৎসায় পথিকৃৎ চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান।
রোববার সকালে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দফা জানাজার পর বেলা পৌনে ১২টায় এম আর খানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকালে মৃত্যু হয় এই চিকিৎসকের, যিনি কর্মজীবনে বহু জাতীয় প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠন প্রতিষ্ঠায় যুক্ত ছিলেন।
স্বাধীনতা ও একুশে পদকজয়ী এই শিশু বিশেষজ্ঞের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আগেই মারা গেছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে দৌলতুন্নেসা ম্যান্ডি।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মিরপুরে এম আর খান প্রতিষ্ঠিত শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ-এ নেওয়া হবে তার কফিন। পরে নেওয়া হবে তার হাতে গড়া উইমেন্স মেডিকেল কলেজে। দুই জায়গাতেই তার জানাজা হবে।
পরে এম আর খানের মরদেহ নেওয়া হবে সাতক্ষীরায় তার গ্রামের বাড়িতে । শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানেই তাকে সমাহিত করা হবে।
চিকিৎসায় অবদানের জন্য চলতি বছর দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন এম আর খান। গত ২৪ মার্চ এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাধীনতা পদক পরিয়ে দেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে এম আর খানের ৩৭টি গবেষণাধর্মী রচনা প্রকাশিত হয়েছে। শিশুরোগ চিকিৎসা সংক্রান্ত সাতটি বই লিখেছেন, যেগুলো দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত।
১৯২৮ সালের ১ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরতলীর রসুলপুর গ্রামে জন্ম মোহাম্মদ রফি খানের, কর্মজীবনে তিনি এম আর খান নামেই বেশি পরিচিতি ছিলেন। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া প্রায় সব সম্পত্তিই তিনি দান করেছেন সাতক্ষীরা জেলার মানুষের জন্য।