চলতি বছর মাধ্যমিকে উত্তীর্ণদের মধ্যে ১৩ লাখ ৮০৬ শিক্ষার্থী কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেছেন। সময় প্রায় ফুরিয়ে এলেও পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী আবেদনই জমা দেননি।
ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে কলেজ ভর্তির আবেদন জমা নেওয়ার সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে ওই সময়ের মধ্যে ছয় হাজার শিক্ষার্থী টাকা দিলেও আবেদন করেননি। তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় আবেদন জমা নেওয়ার সময় শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পাস করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আবেদনকারীর সংখ্যা এই হিসাব থেকে বাদ দিলে এক লাখ ৭২ হাজার ৭৮৮ জন এখনো কলেজ ভর্তির আবেদন করেননি।
টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিয়ে ইন্টারনেট অথবা এসএমএসকরে শিক্ষার্থীদের একাদশে ভর্তির আবেদন করতে হয়েছে।
এবার কলেজে ভর্তিতে অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ ছিল।
একজন আবেদনকারী যতগুলো কলেজকে তার পছন্দক্রমে রাখছেন, সার্ভারে ততটি আবেদন হিসাব করা হচ্ছে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রথম দিন ২৬ মে শুরুর কয়েক ঘণ্টা টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএসে ফি জমা দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। অবশ্য পরে আর জটিলতার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
গতবছর আবেদন জমা দিতে কোনো সমস্যা না হলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়। এতে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পর শিক্ষার্থীরা ওই তালিকা দেখার সুযোগ পান।
আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুলাই কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবার।
আসনের বিপরীতে নির্বাচিত তালিকা থেকে ১৮ থেকে ২২ জুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি ২৩ থেকে ৩০ জুন।
আগামী ১০ জুলাই একাদশে ক্লাস শুরুর পর ১০ থেকে ২০ জুলাই বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।