রোববার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মােহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মো: মুর্শেদুল হাসানের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযােগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আজ চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়।’ সোহেলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৮ সালে করা বিভাগীয় মামলায় তদন্ত শেষে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
এর আগে গত ১১ আগস্ট একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘‘বেঞ্চ অফিসারের আড়ালে তিনি ‘মাদক-মোঘল’, এবার নারীসহ গ্রেপ্তার’’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসারের আড়ালে মাদক কারবার করে আসছিলেন মোরশেদুল। নিজের কেনা ফ্ল্যাটে বসেই তিনি বিক্রি করতেন ইয়াবা। যে ফ্ল্যাটে আনাগোনা ছিল বেশ কিছু নারীর। মাদক বিক্রি ও নারীদের আনাগোনার কারণে অন্য ৩৪টি ফ্ল্যাটের মালিকরা ছিলেন অস্বস্তিতে। প্রতিকার চেয়ে থানায় জিডিও করেছেন তারা। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট এক নারীসহ তাকে রাজধানী মিরপুরের পীরেরবাগের ঝিলপাড়ের তার নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার দুটি বিলাসবহুল গাড়িও জব্দ করে পুলিশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর আগেও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাত্র একদিন কারাগারে থেকে পরদিন জামিনে মুক্তি পান। এবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতারের সূত্রে ফের গ্রেফতার হয়েছেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি জানান, গত ৬ আগস্ট তার থানার সাব-ইন্সপেক্টর অভিযান চালিয়ে রানা মণ্ডল নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে। এ সময় তার কাছে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানান, এই ইয়াবা তিনি মিরপুর এলাকার ‘মাদক সম্রাট’ এর কাছ থেকে কিনে এনেছেন।
তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে পরে যাত্রাবাড়ী থানা ও মিরপুর থানার পুলিশ ওই দিনই অভিযান চালায় মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে গিয়ে ফাতেমা ইসলাম চাঁদনী নামের আরেক খুচরা মাদক বিক্রেতাকে পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আর সোহেলের কাছে পাওয়া যায় ৬০০ পিস ইয়াবা। পরে দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।