শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

লিবিয়ার নেতৃত্ব দিতে অবশেষে জনসম্মুখে গাদ্দাফির ছেলে!

যা যা মিস করেছেন

অবশেষে জনসম্মুখে সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির একমাত্র জীবিত ছেলে সাইফ আল ইসলাম। তিনি আগামীতে লিবিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।’ লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান তিনি।

সাক্ষাৎকারে ‘বন্দী কি না’ এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘তিনি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছেন। আপনি কল্পনা করতে পারেন? যারা আমাকে বন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তারা এখন আমার ভালো বন্ধু। এক দশক আগে যারা তাকে গ্রেফতার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাইফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারে।’

২০১১ সালের নভেম্বরে লিবিয়ার সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আজমি আল-আতিরি সাইফ গাদ্দাফিকে আটক করে এবং তখন থেকে সাইফ এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আটক ছিলেন।

লিবিয়া সরকার অবশ্য দাবি করেছিল, সাইফ গাদ্দাফি তাদের নিয়ন্ত্রিত কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফসহ গাদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি নিহত হওয়ার একদিন পর সাইফও ধরে পড়েন। ২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাইফকে আর জনসমক্ষে তেমন দেখা যায়নি। বাবা গাদ্দাফি হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফির সাত সন্তানের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনজন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security