কিছুতেই চিনি বা মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে পারছেন না? চিনির বদলে গুড় খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। এটা চিনির থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। শীতকালে খেজুর গুড়ের থেকে বেশি সুস্বাদু কিছুই হতে পারে না। আর বাকি সময়ের জন্য আখের গুড় তো আছেই। বরং চিনিকে অনেকে বলেন ‘হোয়াইট পয়েজন’ বা সাদা বিষ।
এখানে জেনে নেয়া যাক গুড়ের কিছু উপকার।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে: গুড় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে হজমের জন্য যে এনজাইম ব্যবহার হয় গুড় খেলে তাদের কার্য্কারিতা বেড়ে যায়। ফলে আরো ভালো করে হজম হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা খাওয়ার ২০ মিনিট পর অল্প গুড় খেয়ে নিন।
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমায়: গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় যা শরীরে হিমোগ্লবিনের মাত্রা বাড়ায়। তাই রোজ গুড় দিয়ে বিভিন্ন খাবার বা এমনি গুড় খেলে‚ শরীরে যা আয়রন দরকার তার মাত্রা পূর্ণ হয়। ফলে শরীর অ্যানিমিক হবে না।
লিভার পরিষ্কার রাখে: শরীরকে ক্ষতিকারক টক্সিন মুক্ত করতে গুড়ের জুড়ি নেই। শরীর কে ডিটক্স করতে ১৫ দিন অন্তর অল্প পরিমাণে গুড় খান।
ফ্লু সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে: কাশি‚ ঠান্ডা লেগে নাক দিয়ে পানি পড়া‚ মাইগ্রেন‚ পেট ফাঁপার মতো রোগের উপশম কম করতে সাহায্য করে গুড়। এই শারীরিক সমস্যাগুলোর হাত থেকে মুক্তি পেতে হাল্কা গরম পানিরেত খানিকটা গুড় মিশিয়ে সেই পানি পান করুন বা চায়ে চিনির বদলে গুড় মিশিয়ে খান।
PMS বা প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম হ্রাস করে: অনেক মহিলাদের পিরিয়ডস-এর আগে মুড সুইং হয়। এটা হয় কারণ তখন শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে। এই সময় রোজ অল্প পরিমাণে গুড় খান। গুড় খেলে এন্ড্রোফাইনস বা হ্যাপি হরমোন বেরোয় যা শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে।
শরীরের ইমিউনিটি বা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়: গুড়ের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর জিঙ্ক আর সেলেনিয়ামের মতো মিনারেল আছে যা শরীরে Free Radical Damage রোধ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে গুড়ে কিন্তু বেশ বেশি মাত্রায় ক্যালোরি আছে । তাই যাদের মধুমেহ বা ডায়বেটিস আছে বা যারা ওজন কমাচ্ছেন তাদের গুড় না খাওয়াই ভালো। বা খেলেও তা কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত তা ডায়েটেশিয়ানের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।