শারদীয় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্ত দেবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শোভাযাত্রায় আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। ঢাকেশ্বরীতে বিকেল ৩টার মধ্যে যাবেন। বিসর্জন রাত ৮টার মধ্যে শেষ করতে অনুরোধ করেছি।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। কোথাও যাতে কোনো অঘটন না ঘটে, সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া সারা দেশের ৩০ হাজার ৭৭টি পূজামণ্ডপে পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীতে ২৩১টি পূজামণ্ডপ স্থাপিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় বেশ কয়েকটা বেশি। রমনা, কালিবাড়ি, কলাবাগান, রামকৃষ্ণ মিশন, সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি টিভি ব্যবহারের জন্য প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। আর্চওয়ে না হলেও মেটাল ডিটেক্টর প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও যাতে সুশৃঙ্খলভাবে হিন্দুসম্প্রদায় পূজা উদযাপন করতে পারে সেজন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে আইজিপির তত্ত্বাবধানে একটি নিয়ন্ত্রণ সেল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যেখানে প্রয়োজন ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি ভলান্টিয়ারও কাজ করবে।
পূজা চলাকালীন রাস্তায় কোনো মেলা থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যানজট যেন না হয়। আজানের সময় পূজামণ্ডপ থেকে কোনো রকম বাদ্য যাতে না বাজে। পূজা চলাকালীন আতশবাজি একদমই বন্ধ করার জন্য বলেছি, কারণ আতশবাজি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। মাদক সেবন না করার জন্যও নিষেধ করেছি। সে ব্যাপারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরও কেয়ারফুল।
তিনি আরো বলেন, এ সময় ঢাকাতে একটি মনিটরিং সেল থাকবে। তারা নিরাপত্তাব্যবস্থা তদারক করবে। তাছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন আশুরার তাজিয়া মিছিল হবে, যাতে মিছিল ও প্রতিমা বিসর্জন যাত্রা এক রুটে না হয়, সেটা মনিটরিং সেল দেখবে।