উন্নয়নের ‘মহাসড়কে’ বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন সামনে রেখে নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন শুরু করেন তিনি।এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট।
জনসাধারণের ওপর নানা উপায়ে নতুন কর ও ভ্যাট আরোপ করেই তৈরি করা হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। জানা গেছে, এবার বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
এ বছর ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) অনুমোদন করা হয়েছে।
সামনের বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এবার পরিধি বাড়ানো হতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সুবিধাভোগীদের জন্য। একইসঙ্গে বাড়ানো হবে এ খাতের বরাদ্দ।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে এবারের বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। এ বছর বাজেটে বেশি বরাদ্দ পাবে বিদ্যুৎ খাত। একইভাবে গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ খাত।
উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হবে পদ্মা সেতুসহ সরকারের মেগা প্রকল্প খাতে। তবে বাড়ানো হতে পারে ব্যক্তিখাতের করমুক্ত আয়সীমা। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট করা হয়েছে জিডিপির ১৭ শতাংশ হারে। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ।
রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদে উপস্থাপনের আগে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।