বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ভূমিকায় সীমান্তে নিহতের সংখ্যা কমায় বাহিনীটির প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, বিজিবি সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানাভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বিজিবি একদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা করি।
দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আপনাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের সময় বিজিবির সাহসী ভূমিকা সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে।
২০০৯ সালের পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে অনেকেই আজ বেঁচে আছেন। আমি তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
এর আগে সকাল নয়টায় পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বিজিবি দিবস উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানো হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কয়েকজন সদস্যকে কৃতিত্বপূর্ণ এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।