বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১১, ২০২৪

সমুদ্রের তলদেশে গোলাপ আকৃতির প্রবাল, হতবাক পরিবেশবিজ্ঞানীরা

যা যা মিস করেছেন

যত দূর দেখা যায়, তত দূর চোখজুড়নো প্রবাল সারি। সমুদ্রের তলদেশে এ প্রবালগুলি গোলাপ আকৃতির। তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এই প্রবাল অপূর্ব নয়নাভিরাম।

পরিবেশবিদদের কাছে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই বিশ্বে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরেও অক্ষত রয়েছে এই সব প্রবাল। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সমুদ্রের গভীরে অবস্থানের কারণেই এগুলি সুরক্ষিত রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের তাহিতি দ্বীপে এই প্রবালপ্রাচীরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

প্রবালপ্রাচীরটির খোঁজ পান সাঁতারুদের একটি দল। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যালেক্সিস রোজেনফিল্ড নামের এক ফরাসি আলোকচিত্রী। চোখের সামনে প্রবালপ্রাচীরটি দেখে অভিভূত তিনি। বিস্মিত রোজেনফিল্ডের ভাষায়, বিশাল আকারের অপরূপ গোলাপ প্রবালগুলি প্রত্যক্ষ করার বিষয়টি মোহনীয়। দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সেগুলি ছড়িয়ে ছিল। যেন এক শিল্পকর্ম।

 

সারা বিশ্বেই সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রবালের নজরকাড়া রঙ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। ২০১৬ সাল থেকে সেখানকার ৮০ শতাংশ প্রবাল নষ্ট হয়েছে! ইউনেসকোর তথ্য বলছে, উষ্ণ জলে প্রাচীরগুলির অবস্থান সাধারণত সর্বোচ্চ ২৫ মিটার গভীর পর্যন্ত হয়। তবে তাহিতির প্রবালপ্রাচীরটির গভীরতা ৩০-১২০ মিটারের মধ্যে। এই গভীরতায় আলো ভালো ভাবেই পৌঁছাতে পারে। যা প্রবালের বেড়ে ওঠা ও তার টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট।

তাহিতির এই প্রবালপ্রাচীরের আবিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে মহাসাগরগুলিতে আরও এমন বড় প্রবালপ্রাচীর থাকতে পারে। কারণ ইউনেস্কোর বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, সাগরের তলদেশের মাত্র ২০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত সামনে এসেছে। আগামী দিনে এরকম আরও কত আসবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security