সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিবিরোধী দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারে প্রয়োজনে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সন্ধ্যায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের করিমপুর কসবা মাঝিপাড়ায় অগ্নিসহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাকল্পে আজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘সারাদেশে আমরা আজ বিক্ষোভ ও শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছি, কয়েক ঘন্টার আহবানে ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানে সরকার বদ্ধপরিকর।
এদেশ আমাদের সবার। সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। কিন্তু একটি পক্ষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং তাদের ভাবাদর্শের পরবর্তী প্রজন্ম এখনো রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করে। আর বিএনপি-জামাত হচ্ছে সেই অপরাজনীতির সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক।
এদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানরা সহিংসতা করে না, যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, হিন্দুদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়, ভোটের সময় ভারতবিরোধী শ্লোগান দেয়, সেই বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধগোষ্ঠী মাঝেমধ্যে এধরণের ঘটনা ঘটিয়ে বা রটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনে করে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, দ্বিতীয় পরিচয় আমাদের ধর্ম। আর বিএনপি-জামাতের কাছে প্রথম পরিচয় ধর্ম আর দ্বিতীয় পরিচয় বাঙালি না বাংলাদেশী সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি।’ তিনি বলেন, ‘একাত্তর সালের আগে যারা ডাকাতি করতো তারা রাজাকারে ভর্তি হয়েছিল আর এখন বিএনপি তারাই করে যারা পেট্রোলবোমা আর আগুন দিয়ে মানুষ, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি, যানবাহন পোড়ায়।‘
তথ্যমন্ত্রী এসময় পীরগঞ্জ সফরকারী স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন এবং দলের পক্ষ থেকে নিজেও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ ও খাদ্যশস্য বিতরণ করেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়