...
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

প্রতারণা মামলায় কারাগারে যাওয়া প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

যা যা মিস করেছেন

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: প্রতারণার মামলায় কারাগারে যাওয়ায় এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা বিভাগ। ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলী রেজা তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষক এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ (৫৫) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মঙ্গলবার ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলী রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রতারণা মামলায় কারগারে যাওয়ায় গত ৯ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।

এরআগে গত ৩১ মার্চ প্রতারণা মামলায় শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজকে কারাগারে পাঠান আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি চালক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আল আমিন নামে এক যুবকের থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেন শিক্ষক সাজ্জাদুল। আল আমিন বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। শিক্ষক সাজ্জাদুল ও আল আমিন পূর্বপরিচিত। সাজ্জাদুলের পরামর্শে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়িচালক পদে আবেদন করেন আল আমিন। ২০২৩ সালের শুরুতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নেন সাজ্জাদুল। শর্ত অনুযায়ী চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি তিনি।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতারণার মামলা করেন আল আমিন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত এসএম সাজ্জাদুল হাসান সবুজের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। তখন সাজ্জাদুল উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। পরে ৩১ মার্চ নেত্রকোনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে মোশতাক আহমেদের আদলতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাল সাজ্জাদুল হক। তবে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শেষে গত পাঁচ এপ্রিল তিনি জামিন পেয়ে কারাগার থেকে ছাড়া পান। পরে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে শিক্ষা বিভাগ।

বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সাজ্জাদুল হককে বরখাস্তের চিঠি সোমবার তাঁর ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাময়িক বহিষ্কার থাকবেন। এখন থেকে সাজ্জাদুল হক বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে খাতায় স্বাক্ষর করবেন। তবে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক বা অন্যকোন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন না। এদিকে ওই বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.