মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

উইঘুর মুসলিমদের ‘বিচ্ছিন্ন করতে’ চীনের নতুন কৌশল!

যা যা মিস করেছেন

নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমরা। এবার তাদের নিয়ে নতুন কৌশল নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আদি আবাসভূমি থেকে তাদেরকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে কাজের জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

তবে পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অনুপাত বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্ন করা হলে চীন সরকার তা অস্বীকার করছে।

তারা বলছে, গ্রামীণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে এসব চাকরি ও বদলির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই নীতিতে জোর খাটানোর উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। গত কয়েক বছরে শিনজিয়াং প্রদেশ জুড়ে যেসব পুনঃশিক্ষণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে – তার পাশাপাশিই এ চাকরির পরিকল্পনা করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের জীবনধারা ও চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনার জন্য।

জরিপটি শুধু চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরই দেখার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত তা অনলাইনে এসে যায়।

২০১৭ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-পরিচালিত টিভি চ্যানেলে একটি ভিডিও রিপোর্ট প্রচারিত হয়, যা এখনও কোনও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়নি।

এতে দক্ষিণ শিনজিয়াং-এর একটি গ্রামের কেন্দ্রস্থলে একদল সরকারি কর্মকর্তাকে লাল ব্যানারের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। ব্যানারে ছিল, আনহুই প্রদেশে কিছু চাকরির বিজ্ঞাপন। যা ওই গ্রাম থেকে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে।

পুরো দু’দিন পার হলেও ওই গ্রাম থেকে একজনও চাকরির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। তখন কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করলেন। এরপর দেখা যায়, কীভাবে উইঘুর কাজাখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ব্যাপকভাবে শ্রমিক হিসেবে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বুজায়নাপ নামের ১৯ বছরের তরুণীকে চাপের মুখে চাকরির জন্য আনহুইতে যেতে বাধ্য করা হয়।

ভিডিও শেষ হয় মায়ের কাছ থেকে মেয়ের অশ্রুভেজা বিদায় নেওয়ার মধ্য দিয়ে। বুজায়নাপ ও অন্যরা তাদের পরিবার এবং সংস্কৃতি পেছনে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মানবাধিকার ও সমকালীন দাসত্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও শেফিল্ড হাল্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরা মার্ফি বলেন, “ভিডিওটা সত্যি চমকপ্রদ। চীনা সরকার সব সময়ই বলছে যে লোকেরা স্বেচ্ছায় এসব কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু এই ভিডিওতে স্পষ্টভাবে বেরিয়ে এসেছে যে এটা এমন এক পদ্ধতি যেখানে জোর খাটানো হচ্ছে এবং কাউকে এতে বাধা দিতে দেওয়া হচ্ছে না।”

চীনা রিপোর্টটি ২০১৯ সালে ভুলবশত অনলাইনে প্রকাশ করে দেওয়া হয়, তবে কয়েক মাস পরে আবার মুছে দেওয়া হয়।

নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষাবিদের তৈরি এ রিপোর্টে গণহারে শ্রমিকদের বদলিকে উইঘুরদের চিন্তায় পরিবর্তন আনা এবং তাদের প্রভাব বিস্তার করে বাকি সমাজের সঙ্গে যুক্ত করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security