গত চার মাসের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলো মরক্কো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় চতুর্থ আরব দেশে হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে মরক্কো।
এসব চুক্তি স্বাক্ষরের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে ও মোকাবিলায় আরব দেশগুলোকে ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ করে তুলছে ট্রাম্প প্রশাসন।
দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম সাহারা মরুভূমিকে মরক্কোর ভূখণ্ড বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আলজেরিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী পোলিসারিও ফ্রন্টের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল মরক্কোর। পোলিসারিও ফ্রন্ট একটি স্বাধীন দেশ গড়তে চায়।
২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাওয়া জো বাইডেন পশ্চিম সাহারা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হবেন। কোনও পশ্চিমা দেশ মরুভূমিতে মরক্কোর অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি। এই বিষয়ে বাইডেনের এক মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউজ জানায়, মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদ ষষ্ঠের সঙ্গে এক ফোনালাপে ইসরায়েল-মরক্কো চুক্তি চূড়ান্ত করেন ট্রাম্প।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, আজ আরেকটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের দুটি মহান মিত্র দেশ ইসরায়েল ও মরক্কো পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনে বড় ধরনের অগ্রগতি স্থাপিত হবে ।