চ্যাম্পিয়নস লিগের যে চ্যালেঞ্জ নেইমার-এমবাপ্পেরা নিয়েছিলেন দলকে তার শেষ ধাপে তুলেছেন তারা। তবে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার জাদুতে। মঙ্গলবার রাতে লিসবনে ৩-০ গোলে পিএসজি উড়িয়ে দিয়েছে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপগিজকে। প্রথমবার নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। বিনিয়োগ স্বার্থক হতে চলেছে পিএসজি। স্বার্থক হতে চলেছে নেইমার-এমবাপ্পের ওপর অর্থ ঢালা।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় পিএসজি। ১৩ মিনিটের মাথায় ব্রাজিল ডিফেন্ডার মারকুইনোস চোখে লেগে থাকার মতো এক হেড থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার নেওয়া ফ্রি কিক থেকে উড়ে এসে হেড করেন তিনি।
প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। নেইমারের অসাধারণ ব্যাক হিল পাস ধরে গোল করেন তিনি। পুরো ম্যাচে তিন-চারটি গোলের সুযোগ হারানো নেইমার ওই এক পাসের জন্যই হয়তো বর্তে যাবেন।
পিএসজির হয়ে প্রথম গোল করার পর নেইমারের সঙ্গে মারকুইনোসের উদযাপন। ছবি: ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে জোয়ান বারনেটের করা গোলটিও আসে ডি মারিয়ার পা থেকে। দারুণ এক বল ধরে ক্রস দেন তিনি। আবারও হেডে থেকে গোল পিএসজির। ওই গোলেই ম্যাচ থেকে রূপকথা লিখে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে আসা জার্মান ক্লাব লাইপজিগকে বিদায়ের পথ বাতলে দেয় পিএসজি।
ম্যাচে অবশ্য লাইপজিগ সুবিধাই করতে পারেনি। গোল মুখে তিনটি শট নিলেও তা কেইলর নাভাসের বদলে পিএসজির পোস্টের নিচে দাঁড়ানো রিকোকে পরীক্ষাই নিতে পারেনি। বরং নেইমার সহজ সুযোগগুলো মিস না করলে আরও বড় ব্যবধানে হারতো হতো লাইপজিগকে। তাদের কোচ নিগেলসম্যান ম্যাচের ছক কষতে নেইমার-এমবাপ্পেকে নিয়েই ভেবেছেন। ভুলে গিয়েছিলেন ডি মারিয়ার নাম। তারই খেসারত দিল তার দল।