প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় ভাই শহীদ লে. শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ড হার্স্ট্রে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ছোট ভাই রাসেলেরও ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার।
আজ রবিবার (১৩ মে) ঢাকা সেনানিবাসে ২৭টি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী একাগ্রতা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সার্বজনীন আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনাসদস্যদের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনা সদস্যদের জন্য কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। রসদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতা বাড়িয়েছি। তাদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রথমবারের মতো আমরা সেনাবাহিনী প্যারা কমান্ডো ইউনিট চালু করেছি। ‘৯৬ সালে মেয়েদের সেনা ও বিমানবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করি। নারী পাইলট সংযোজন করে নতুন যুগের সূচনা করি। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র করে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী একাগ্রতা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সার্বজনীন আস্থা ও ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনাসদস্যদের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্গত মানুষের সহায়তা করে সেনাবাহিনী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মিয়ানমার থেকে বাস্তুহারা নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সেখানে তাদের অবস্থানের ব্যবস্থা করেছি। রিলিফ বিতরণ থেকে সার্বিক দায়িত্ব পালনে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী সেখানে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্ত আমাদের সমাজকে নষ্ট করুক। আমরা দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।