ভূমি অধিগ্রহণের নামে আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার কিশোরগঞ্জে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মো. সৈয়দুজ্জামানের বাসা থেকে ৯২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে দুদক।
“বাড়ির আলমারি, ঘরের সিলিং থেকে ঝুলানো বাজারের দুটি ব্যাগসহ বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ওই টাকা পাওয়া যায়। এটা ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণে সরকারি তহবিলের আত্মসাত হওয়া টাকার অংশ বলে ধারণা করছি।”
দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম এই টাকা উদ্ধার করে। তদন্ত টিমের সদস্যরা আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধারের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও মো. সৈয়দুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে দুদকের কর্মকর্তারা মো. সৈয়দুজ্জামানের বাসায় লুকানো বাজারের ব্যাগের ভেতর থেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত টাকা মঙ্গলবার রাতেই কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় জিম্মায় রাখা হয়েছে। আজই আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে উদ্ধারকৃত ৯২ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারিতে জমা রাখা হবে। দুদকের ইতিহাসে এই প্রথম এত বেশি পরিমাণে উদ্ধার করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি মো. সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওইদিনই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডলকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই মামলার আসামি বর্তমান পিরোজপুর জেলার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে পিরোজপুর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করা হয়। তদন্তের স্বার্থেই তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।