গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকবারি কলেজের ছাত্র শাহাদাত হোসেন সোহাগকে খুনের দায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া এ রায় দেন।
এছাড়া একই মামলায় অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
নিহত ওই কলেজছাত্রের নাম শাহাদাত হোসেন সোহাগ (২২)। তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অনার্স (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম, একই এলাকার আব্দুল সোবাহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন, দক্ষিণ ছায়াবীথী এলাকার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে হানিফ এবং উত্তরবিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল। এদের মধ্যে সেলিম, হানিফ, জুয়েল ও আসাদুল ইসলাম পলাতক। রায় ঘোষণার সময় বাকি পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এডিশনাল পিপি) আতাউর রহমান জানান, নিহত সোহাগ গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি সোহাগের বন্ধু বিহন কায়সার ফোন করে তাকে জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে যেতে বলে। সোহাগ তার বন্ধু নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাঠে গিয়ে দেখে বিহন কায়সার, তার স্ত্রী আঁখি, হানিফ ও আসামিদের কয়েকজন সেখানে আছে। ওই খানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ছুরি, কিরিচ, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ইত্যাদি নিয়ে সোহাগসহ তাদের ওপর হামলা চালায়।
আসামিরা ছুরি দিয়ে সোহাগকে আঘাত করে। পরে তাকে রিক্সায় করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবার ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোহাগের পালিত বাবা আবুল হাসেম সুফি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।