...
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪

জামিন নিতে আদালতের পথে বিএনপি চেয়ারপারসন

যা যা মিস করেছেন

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজির হবেন বলে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া নিশ্চিত করেছেন ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন ও তদন্তাধীন ৩৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ছয়টিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান।

একই দিন যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ার মানহানির একটি মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নুর নবী।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই বছর আগে বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১০ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার জেলা জজ আদালত। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে।

এছাড়া ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাজহারুল ইসলাম এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় করা একটি মামলায় ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট নড়াইলের একটি আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এসব পরোয়ানা মাথায় নিয়েই তিন মাস পর বুধবার বিকেলে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদ চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব এবং বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.