মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২৭টি চেক পোস্ট বসিয়েছে।
তিনি বলেন, “মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা যাতে কোনো অবস্থাতেই মূল ভূ-খণ্ডে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশসহ প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। তাদের কক্সবাজারে সীমিত রাখার কাজ চলছে।
“ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পুলিশের মোট ২৭টি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।”
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থান করবে। তাদের অবস্থান ও গতিবিধি শুধুমাত্র কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ থাকবে। তারা ক্যাম্পের বাইরে তাদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান বা আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন না। তাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ বাসা ও বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন না। এছাড়া রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন না। তারা সড়ক, রেল ও নৌপথে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গমনাগমন করতে পারবেন না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে কক্সবাজার অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলা ট্রিবিউনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকনাফের হোছনিপাড়া,নয়াবাড়ি,পাহাড়ার কাটা,উছনি প্রাং ও হ্নীলা এলাকায় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ও দোকান ভাড়া নিয়ে থাকার চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা ও রোহিঙ্গারা বিষয়টি অকপটে স্বীকারও করেছেন।