সরকারি চাকরি করতে হলে ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুলেই পড়াতে হবে। বেসরকারি স্কুলে পড়ালে কাটা যাবে বেতন। এমনই অভিনব আইন চালু হতে চলেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরে। বিজেপি-শাসিত রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নংথমবম বীরেন সিং এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন।
ইম্ফলে গতকাল সোমবার ‘প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিকাশ যোজনা’ নামের এক প্রকল্পের অধীনে এক প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এ মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার মান বাড়াতে হবে। তাই দ্রুততার সঙ্গে সরকার নতুন নীতি আনতে চলেছে।
টানা ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনের অবসান ঘটিয়ে মণিপুরে বিজেপির নেতৃত্বে সদ্য সরকার গঠনের পর বীরেন সিং এখন রাজ্যের সার্বিক সংস্কারে মেতেছেন। স্কুলশিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি স্কুলে পড়ানোটা এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। প্রাইভেট টিউটরের কাছে পাঠানোটা হয়ে উঠেছে সামাজিক পদমর্যাদার প্রতীক।’ তাঁর দাবি, মণিপুর থেকে এই রোগ নির্মূল করতে তাঁর সরকার উদ্যোগী হবে। সেই সঙ্গে বেকার যুবকদের সহায়ক শিক্ষকের ভূমিকায় কাজে লাগাতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্যে নয় লাখের বেশি বেকার যুবককে অর্থ রোজগারের দিশা দেখাবে সরকার।’ রাজ্যে কারিগরি শিক্ষার প্রসারেও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
তবে সরকারি কর্মীদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে পড়ালে বেতন কাটার সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন অনেকেই। সরকারি কর্মীদের অনেকেরই বক্তব্য, রাজ্যের বেহাল শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার না করে এহেন সিদ্ধান্ত বিপদই ডেকে আনবে। সাবেক কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্য সরকার উন্নয়ন থেকে পিছু হঠে এখন ভুল শিক্ষানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে। দুর্নীতি দমনের নামে শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দুর্নীতি আরও বেড়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।