কুমিল্লার একটি চেকপোস্টে একটি বাস তল্লাশির সময় গোলাগুলির পর ‘নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির দুই সদস্যকে’ আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির গতিরোধে পুলিশের অভিযান চলাকালে হাইওয়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে বোমা ও ছুরিসহ জসিম (২২) ও হাসান (২৪) নামে সন্দেহভাজন দুই জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এদের মধ্যে জসিম নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়।
আটক হাসান চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে এবং জসিমের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান,‘হামলাকারীরা আল্লাহু আকবার বলেই পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে। তারা জেএমবির সদস্য বলে আমরা ধারণা করছি।’
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, ‘মহাসড়কে চলাচলরত অধিক গতি সম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিতকরণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় অভিযান চলছিল। ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলাকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসের অধিক গতি চিহ্নিত হয়।
পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে আটক করার পর বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীবেশী দুই জেএমবি সদস্য আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। তবে ওই বোমা বিস্ফোরিত না হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া শুরু করলে তারা বোমা ছোড়া অবস্থায় দৌঁড়ে গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় ২৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে এবং হাসান নামে আরও একজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪টি বোমা ও ১টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ জসিম ও হাসানকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, ঘটনার পরপর হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চল সুপার রেজাউল করিম, জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন, চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জাকারিয়া, ওসি নাছির উদ্দিন মৃধাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।