রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) অবৈধভাবে গড়ে তোলা বহুতল ভবন ভাঙার বিষয়ে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে এখন ভবনটি ভাঙতেই হবে।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে কতদিনের মধ্যে ভাঙতে হবে সে বিষয়ে বিজিএমইএ-এর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ে হার হওয়ায় দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের শিল্পোদ্যোক্তাদের সমিতি বিজিএমইএ-এর সামনে ভবনটি ভেঙে ফেলা ছাড়া আর কোনো পথ থাকল না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিজিএমইএ ভবনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের অংশে অবস্থিত বিজিএমইএ এর ১৬ তলা ভবনটি অবিলম্বে সংগঠনের নিজ খরচায় ভেঙে ফেলতে রায় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয়।
২০১১ সালে হাইকোর্টের রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তীতে এই রায়টি পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছিল বিজিএমইএ।