কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।
তনুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি)। তার সঙ্গে আছেন সিআইডির সিনিয়র এএসপি, কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের সিআইডির পুলিশ সুপার সহ কুমিল্লা জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানানিবাস এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি টিম।
বেলা আড়াইটার দিকে তনুর বাবা-মা দুই ভাই ও এক বোনকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এর উপস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
কুমিল্লার এএসপি জানান, সিআইডির টিমের সদস্যরা সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে তনু হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর সেনানিবাস এলাকার ভেতরে তনুর বাসায় যান। এছাড়াও তনু যে বাসায় টিউশনি করতেন ও কম্পিউটার শিখতেন সেখানে গিয়েও খোজ-খবর নেন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তনুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করে সিআইডি কার্যালয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি তদন্তে র্যাব, পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।