বুধবার, এপ্রিল ১০, ২০২৪

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় রানারআপ জবি শিক্ষার্থীর ‘কৃষ্ণপক্ষ’

যা যা মিস করেছেন

শেখ শাহরিয়ার হোসেন, জবি প্রতিনিধি: ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাশেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ‘অ্যাওয়ার্ড বাই ফিপরেস্কি জুরি সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করে চলচ্চিত্রটি। এর ইংরেজি নাম ‘এ বার্নিং সোল’।

গত রবিবার জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭ টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়। কৃষ্ণপক্ষ চলচ্চিত্রটি ক্যাশ রিওয়ার্ড হিসাবে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার লাভ করেছে।

কৃষ্ণপক্ষে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রাজ।

নাঈম রাজ জানান, কৃষ্ণপক্ষে আমি সদ্য অনার্স পাস করা একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চলচ্চিত্রটিতে বাস্তবতা এবং পরবাস্তবতার সেতুবন্ধন করা হয়েছে। এটি আমার কাছে একটি নতুন অভিজ্ঞতা। নিজেকে বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণরূপে পরাবাস্তবায় নিয়ে যাওয়াটা মোটেও সহজ কথা নয়। তবে চলচ্চিত্রের প্র‍য়োজনে নিজের মনস্তত্ত্বে সেই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। মৃত্রিকা রাশেদ এর চিন্তা ও কর্মে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তার মধ্যে আমি অপার সম্ভাবনা লক্ষ্য করি। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ পুরস্কৃত হওয়ায় আমি অভিনেতা হিসেবে দিগন্ত উড়াল আনন্দ অনুভব করছি। কৃষ্ণপক্ষের সকল কলাকুশলীদের আমার শুভকামনা ও অভিনন্দন।

চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাশেদ।

অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমার সিনেমার গল্প আসলে সিনেমাকে ঘিরেই। নব্বই দশকে বাংলাদেশের সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার, বর্তমানে সে সংখ্যা দেড়শো থেকে দুইশ হবে। এই পরিসংখ্যান যখন একজন ফিল্ম জার্নালিস্ট অনুধাবন করতে পারেন, তার মনস্তাত্ত্বিক জগতে ঘটতে থাকে নানা পরিবর্তন। এই একজন মানুষের বিচিত্র অনুভূতিকে আমি ভিজ্যুয়ালাইজ করার চেষ্টা করেছি ক্যামেরা৷ ও লেন্সের মাধ্যমে। দর্শকদের ভালো লাগলে তবেই আমার এ চেষ্টা সার্থক। চলচ্চিত্রটি পুরস্কৃত হওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো কিংবা আমার সিনেমার মতো পরাবাস্তব কিছু। এ পুরষ্কার আমার সিনেমা নির্মাণের যাত্রায় সবসময় অনুপ্রেরণা জোগাবে। সামনে আরো ভালো কিছু নির্মানের প্রত্যাশা করি।’

এছাড়াও চলচ্চিত্রটিতে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রাশেদ বিপ্লব, সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে জাহেদ নান্নু, সম্পাদক বনি চৌধুরী, স্পেশাল ইফেক্ট রাহান আল রাশিদ, সংগীতে আহসান আল মিরাজ, আর্ট ডিরেক্টর মৃত্রিকা রাশেদ, কস্টিউম জায়েদ মিন আশরাফ এবং পোস্টার নিয়ে পরাগ ওয়াহিদ কাজ করেন।

৯ দিন ব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব গত ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় যা ২২ জানুয়ারি শেষ হয়। এতে ৭১টি দেশের মোট ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security