‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কিংবদন্তি সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে।
সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষে এবং বিভন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ কীর্তিমান এ মানুষটিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের এ যোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গাফফার চৌধুরীর দেহ লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জানা যায়, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গাফফার চৌধুরীর জানাযার নামাজ হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। পরে আবদুল গাফফার চৌধুরীর ইচ্ছা অনুযায়ী মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।আবদুল গাফফার চৌধুরীর দেহ দেশে আনার সব ব্যয় বাংলাদেশ সরকার বহন করছে বলে জানিয়েছে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। ডায়াবেটিস ও কিডনিসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগেছিলেন গাফফার চৌধুরী।
লন্ডনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ১৯ মে ভোরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়