শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকে: প্রধানমন্ত্রী

যা যা মিস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কল-কারখানায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাইরে থেকে অনেকে উস্কানি দেয়। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সর্তক থাকতে হবে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ এবং মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ ০৮টি নব নির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় আমরা দেখি, বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক নেতারা বা কোন কোনো মহল উস্কানি দেয়, একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, এখন বিশ্ব প্রতিযোগীতামূলক। এ প্রতিযোগীতাময় বিশ্বে শিল্প কল-কারখানা, উৎপাদন এবং রপ্তানি যদি সঠিক ভাবে চালাতে হয় তাহলে কারখানাগুলো যেন যথাযথ ভাবে চলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি সেখানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে কিন্তু এ রপ্তানিও বন্ধ হবে। তখন কর্মপরিস্থিতি থাকবে না। নিজেরাও কাজ হারাবেন। বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরতে হবে তখন। সেই কথাটা মনে রেখে শ্রমিক যারা তাদেরও কিন্তু একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এখানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শ্রমিক-মালিক পরস্পর পরস্পরের সুবিধা-অসুবিধা দেখার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, মালিকদের দেখতে হবে শ্রমিকদের অসুবিধা কি কি। তাদের জীবন-জীবিকা যাতে সুন্দর ভাবে চলে, সেই ব্যবস্থা করা। শ্রমের ন্যায্য মূল্যটা যেন তারা পায়, শ্রমের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে সেটাও তাদের দেখতে হবে। আবার শ্রমিকদেরও দায়িত্ব থাকবে কারখানাটা সুন্দরভাবে যেন চলে, উৎপাদন যেন বাড়ে, সেই ব্যাপারটা লক্ষ্য রাখা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু আপনাদের কাজ করতে হবে।

শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব সময় আমাদের মালিক এবং শ্রমিকদের একটা অনুরোধই করবো, শ্রমিক-মালিকের সম্পর্কটা যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিকদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে এ শ্রমিকরা শ্রম দিয়েই তাদের কারখানা চালু রাখে এবং অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয়। আবার সেই সঙ্গে শ্রমিকদেরও এ কথা মনে রাখতে হবে যে কারখানাগুলো আছে বলেই তারা কাজ করে খেতে পারছেন, তাদের পরিবার পরিজনকে পালতে পারছেন বা তারা নিজেরা আর্থিক ভাবে কিছু উপার্জন করতে পারছেন।

আর কারখানা যদি ঠিক মতো না চলে তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। কাজেই যে কারখানা আপনার রুটি রুজির ব্যবস্থা করে অর্থাৎ আপনার খাদ্যের ব্যবস্থা করে, আপনার জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে সেই কারখানার প্রতি যত্নবান হতে হবে।

অনুষ্ঠানে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ দেওয়া হয়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক-প্রতিনিধিদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security