মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

রোমানিয়ায় আটকে আছে মাদারীপুরে ৫ যুবক, পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি

যা যা মিস করেছেন

মোঃ রোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

রোমানিয়ায় দালাল চক্রের হাতে বন্দী রয়েছে মাদারীপুরের ৫ যুবক। রোমানিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভনে তাদের পরিবারের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। বর্তমানে রোমানিয়ার অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে পরিবারের কাছে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে আরও টাকা দাবি করছে। অভিযোগ পেয়ে চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ।

রোমানিয়ায় দালাল চক্রের হাতে বন্দীরা হলেন- মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রামের মৃত সৈয়দ সালামের ছেলে তানভীর এবং একই গ্রামের সাঈদ হাওলাদারের ছেলে বায়েজিদ হাওলাদার ও রাশেদ হাওলাদার, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরের মিলন মিয়া ও মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকি নওহাটা গ্রামের রমোফাজ্জেল হাওলাদার।

বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর-২) বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে সেদিনই চক্রের একজনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। চক্রের আটক আল আমিন (২৯) মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজির হাওলা এলাকার জাফর বেপারীর ছেলে। অভিযোগ রয়েছে আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর হাজির হাওলা এলাকার জাফর বেপারীর ছেলে আল আমিন (২৯), রাস্তি এলাকার শামিম আকন ও তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৮), সিরাজ আকন (৬০), হাজির হাওলা এলাকার জাফর বেপারী ও তার স্ত্রী রীনা বেগম, সিরাজ আকনের স্ত্রী রানু বেগম। তারা সবাই একই দালাল চক্রের সদস্য।রোমানিয়ায় অবস্থানরত স্বজনদের মাধ্যমে ইতালিতে পৌঁছে দেওয়া এবং উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে চলতি বছরের ৩ আগস্ট ভুক্তভোগী পাঁচজনের পরিবারের কাছ থেকে আট লাখ টাকা করে নেয়।

এক মাসের মধ্যে ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা কালক্ষেপণ করতে থাকে। বর্তমানে ওই পাঁচ যুবককে পনেরো দিন ধরে রোমানিয়ায় আটকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করছে চক্রের সদস্যরা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করলে দালাল চক্রের সদস্য আল আমিনকে আটক করে। ভুক্তভোগী পরিবার জানান, তাদের মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়ে মাদারীপুরের আরও পাঁচজন অনেকদিন ধরে বসনিয়ায় রয়েছে।

রোমানিয়ায় বন্দী থাকা তানভীরের ভাই মো. সৈয়দ শেলিম জানান, রোমানিয়া থেকে ইতালিতে পাঠাতে গ্রীসে অবস্থানরত শাহিনের সঙ্গে চুক্তি করে তার ভাগনে আল আলিন ও তার স্ত্রী সুমিসহ সবাইকে উপস্থিত রেখে পাঁচ পরিবার তাদেরকে ৮ লাখ টাকা করে দেই। কিন্তু তারা আমার ভাইসহ অন্যদের ইতালিতে না নিয়ে রোমানিয়ায় আটকে রেখে মুক্তিপন দাবি করছে। আমরা ভাই সহ সবার মুক্তি চাই এবং দোষীদের বিচার চাই।

তবে অভিযুক্ত শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, স্বামীর সঙ্গে আমার অনেক বছর যোগাযোগ নেই। তাছাড়া আমি বাবার বাড়ি থাকি। তারা শাহিনকে টাকা দিয়েছে কিনা, আমি জানি না।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই চক্রের একজনকে আটক করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security