আগামী জুনেই বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে লিওনেল মেসির। নতুন মৌসুমে ফ্রি ট্রান্সফারে নতুন ক্লাবে নাম লেখাতে পারবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মেসির নতুন ঠিকানা নিয়ে অনেক আগে থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছে। ম্যানচেস্টার সিটি, প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) নাকি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার (এমএলএস) লীগের কোন ক্লাবে পাড়ি জমাবেন মেসি! নাকি ক্যারিয়ার শেষ করবেন বার্সেলোনাতেই! মেসির বার্সেলোনায় থাকা না থাকা নির্ভর করছে ক্লাবটির নতুন সভাপতি কে হবেন এবং তার ভবিষ্যত পরিকল্পপনা কেমন হবে তার উপর। ৭ই মার্চের নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী হুয়ান লাপোর্তা। তিনি মনে করেন, মেসিকে ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় সিটি-পিএসজির আর্থিক সক্ষমতার সঙ্গে পেরে উঠবে না বার্সেলোনা।
পিএসজি যে মেসিকে নিয়ে আগ্রহী সেটা আগেই পরিষ্কার হয়ে গেছে ক্লাবটির বিভিন্ন সময়ে করা মন্তব্যে। ম্যানসিটি সরাসরি না বললেও বৃটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো একাধিকবার নিশ্চিত করেছে, মেসিকে নিয়ে আগ্রহী সিটিজেনরা। মাঠের পারফরমেন্সে ধারবাহিকতা নেই বার্সার।
গত মৌসুমটা কেটেছে ট্রফিশূন্য। চলতি মৌসুমেও সে সম্ভাবনা রয়েছে। বার্সেলোনার অর্থনৈতিক দৈন্যদশাও ‘ওপেন সিক্রেট’। অন্যদিকে মেসিকে দলে পেতে টাকার থলে নিয়ে বসে আছে সিটি ও পিএসজি। বাস্তবতা মেনেই হুয়ান লাপোর্তা জানিয়েছেন নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা। যদিও তিনি সরাসরি সিটি কিংবা পিএসজির কথা বলেননি। বার্সেলোনার সাবেক সফল সভাপতি বলেন, ‘লিওকে ক্লাবে রাখার যে পরিকল্পনা সেটা থেকে সরে আসিনি। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। তারা ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’কে (এফএফপি) সহজেই পাশ কাটাতে পারে। তাদের কাছ থেকে লিও এমন অফার পাবে এসবের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন।’
লাপোর্তার ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। তিনি আঙুলটা তুলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির দিকেই। ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানসিটির মালিক আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আবুধাবি গ্রুপ। ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির মালিকানা কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির।