সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না, তেমনি শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রা সফল হতো না।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্বে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, একজন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তি চুক্তি, সমুদ্র বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় সর্বদাই সমুজ্জ্বল। এখনো তিনি সজীব ও প্রাণবন্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মাঝি এখন তিনিই।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলতার সাথে করোনা পরিস্থিতি এবং উপুর্যপরি বন্যার মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে তিনি বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে তাঁর বেঁচে থাকাটা দেশের জন্য অনেক বেশি জরুরি। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে আছে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু-কন্যা দেশে এসে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, চার মূলনীতি সংবিধানে পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার অনুষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করেছেন।
আজ শেখ হাসিনার নির্ভীক, তেজস্বী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের এবং সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত ও পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তব প্রতিফলন দেখিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাতা ও উন্নয়নের কাণ্ডারি, উন্নত, সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল বাংলাদেশ নির্মাণের রূপকার। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে এবং দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্প, দোহাজারি-রামু-ঘুমধুম রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা বিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা বন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার নতুন মাত্রা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে একজন নন্দিত সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছেন।
বর্তমানে অত্যন্ত সফলতার সাথে করোনা পরিস্থিতি এবং পাশাপাশি উপর্যুপরি বন্যার মোকাবিলা করে যাচ্ছেন।আজ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়া যাবে- তার ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফাল্গুনী হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ। অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।