করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সভায় সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সারা দেশে লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। কারণ, লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি সচল রেখেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যদি করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আসে আমরা টোটাল প্রোগ্রামকে ভাগ করে নিয়েছি। ক্লিনিক্যাল সাইডটা আমাদের এক্সপার্টরা রেডি করবেন। যদি রোগটা বিস্তার করে, কীভাবে তার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান হবে। সাপ্লিমেন্টারি ক্লিনিক্যাল সাইট, যেহেতু শীতের সময় অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকবে, সেটাও সবাইকে সচেতন করে দেওয়া এবং তারও একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রেডি করা।’
সচিব বলেন, ‘ব্যাপক প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, সবাই যাতে মাস্ক পরে। সবাই যাতে দূরত্বটা বজায় রাখে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সবাই যাতে মেনে চলে। ’
বাইরে থেকে অনেক লোকজন দেশে আসছে ও বাইরে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হবে, যাতে বাইরে থেকে আর ভাইরাস না আসে। বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনীর বড় টিম আছে, উনারা দেখাশোনা করছেন।’
অক্টোবর ও নভেম্বরের দিকে শীতের প্রকোপ বাড়লে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। আর এমনটি হলে সেটি হবে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ।