একের পর এক টুইট করে চলেছেন কঙ্গনা রানাউত। কখনও করণ জোহর বা আদিত্য চোপড়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনছেন, কখনও গোটা বলিউডকে মাদকাসক্ত বলে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন তিনি। কখনও আবার মিডিয়াকে রক্তপিপাসু, শকুন বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই ‘রণংদেহী’ মেজাজে আছে কঙ্গনা রানাউত। প্রায় গোটা বলিউডের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে আছেন তিনি। কঙ্গনার রোষানল থেকে রেহাই পায়নি সংবাদ মাধ্যম, মুম্বাই পুলিশও। ক্রমাগত টুইট করে চলেছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি করণ জোহর, আদিত্য চোপড়া, মহেশ ভাট, রাজীব মসন্দের বিরুদ্ধে সুশান্ত সিং রাজপুতকে খুন করার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
এবার তিনি সামনে আনলেন বলিউড তারকাদের মাদক-অভ্যাস নিয়ে। সুশান্তের ড্রাগস নেয়ার তথ্য সামনে আসতে তা বিভিন্ন প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে মানুষের মনে। ঠিক তখনই কঙ্গনা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বলিউডে এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। অনেক তারকাই নাকি ড্রাগস নিয়ে থাকেন।
তিনি জোর দিয়ে বলে বলেন, বি-টাউনের ৯৯ শতাংশ তারকাই নাকি মাদকে অভ্যস্ত। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে ট্যাগ করে তিনি রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, ভিকি কৌশলের রক্তের নমুনা নেয়ার অনুরোধ করেন ড্রাগ পরীক্ষার জন্য। তার মতে এসব তারকাদের ড্রাগস নেয়ার কানাঘুষো অনেক আগে থেকেই শোনা গিয়েছে বলিপাড়ার অলিগলিতে।
এর আগেও করণ জোহর তার বাড়িতে অনুষ্ঠিত পার্টির একটি ভিডিও শেয়ার করে বিতর্কের মুখে পড়েন। সেই ভিডিওতে দেখা যায় রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, ভিকি কৌশল, বরুণ ধওয়নদের মত তারকাদের। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-সহ অনেকেই ওই ভিডিয়োতে তারকাদের গতিবিধি দেখে মাদক সেবনের অভিযোগ তোলেন সেই সময়। কঙ্গনার কয়েক শব্দের এই টুইট যেন আবার উস্কে দিল চাপা পড়ে যাওয়া পুরানো সেই জল্পনাকে।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত সময় ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা (সিবিআই) তদন্তের সময় মাদকের বিষয়গুলো সংবাদমাধ্যমে বড় করে সামনে আসে। সিবিআই কর্মকর্তাদের তদন্তে বেশ কিছু মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সুশান্তের মাদক গ্রহণের তথ্য সামনে আসে। সুশান্তের বাড়ির দুই কর্মী নীরজ আর দীপেশ সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, গাঁজা খেতেন তরুণ এ অভিনেতা। কিন্তু ছাড়তে চেয়েছিলেন মাদক। এদিকে অভিনেতার বাবা এফআইআরে লিখেছিলেন নিয়মিত বেশি মাত্রায় ড্রাগ দিয়েই তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবার। মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদক চক্রের যোগের হদিস মেলার পর থেকেই হইচই দেশজুড়ে।