রাজধানীর শাহবাগে শিশু পার্কের ফলক থেকে সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের নাম এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘‘এরই মধ্যে শিশু পার্কের নাম ‘জিয়া শিশু পার্ক’ থেকে পরিবর্তন করে শুধু ‘শিশু পার্ক’ করা হয়েছে। এখন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নামফলকটিও পরিবর্তন করা হবে।’’
বুধবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ের পিআইডি সম্মেলন কক্ষে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস আয়োজন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী ও সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের স্বাধীনতা দিবস ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপন করা হবে। দ্বিতীয়বারের মতো ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হবে। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশ ব্ল্যাকআউট থাকবে। ওই দিন আমরা যে যেখানে থাকবো, সেখানে দাঁড়িয়েই বাতিটি নিভিয়ে দেবো, চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেবো, হাঁটতে থাকলে থমকে দাঁড়াবো। এই বিষয়টি সব মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে ২৫ মার্চ রাত ৯টা বাজার ৩-৪ মিনিট আগে বিশেষ সাইরেন বাজিয়ে বা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষকে প্রস্তুত থাকতে বলা যায় কি না, সে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে।’
জাতিসংঘ ঘোষিত ৯ ডিসেম্বর গণহত্যা দিবস পরিবর্তন করে ২৫ মার্চ করার বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানান মন্ত্রী। ৯ ডিসেম্বর গণহত্যা দিবসের পেছনে কোনও ইতিহাস না থাকার কারণেই এই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতি পর্যন্ত কোটা সুবিধা দেওয়া উচিত কিনা— সে বিষয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মন্ত্রীর অভিমত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যা বর্ণনা করা আছে, আইনে যা বিদ্যমান আছে— তা অব্যাহত থাকবে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মেয়াদেই যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হবে। যদি কোনও কারণে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব না হয়, তাহলে যতটুকু যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হবে, ততটুকুই প্রকাশ করা হবে।’